বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সম্প্রতি ভারত সরকারের (Government Of India) তরফে মায়ানমারের (Myanmar) রাখাইন প্রদেশে বজায় থাকা হিংসাত্মক পরিবেশের আবহে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি জারি করেছে।
ওই অ্যাডভাইজারিতে ভারত সরকার জানিয়েছে যে, “নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি, ল্যান্ডলাইন সহ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে, সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
এর পাশাপাশি যেসব ভারতীয় নাগরিক ইতিমধ্যেই রাখাইন রাজ্যে রয়েছেন তাঁদের অবিলম্বে ওই রাজ্য চারার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০২১-এর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে মায়ানমারে ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে, রাখাইন রাজ্য এবং অন্যান্য কয়েকটি এলাকায় গত বছরের অক্টোবর থেকে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী এবং ক্ষমতাসীন জান্তার (Junta) মধ্যে গুরুতর লড়াই দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর ভারত ছাড়ছে ইংল্যান্ড! কেন এমন সিদ্ধান্ত? জানলে হবেন অবাক
উদ্বেগ বেড়েছে দিল্লিতে: উল্লেখ্য যে, মায়ানমারের বেশ কয়েকটি বড় শহর এবং ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত নভেম্বর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে শত্রুতা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায়, মণিপুর এবং মিজোরামের নিরাপত্তার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে নয়াদিল্লিতে উদ্বেগ বেড়েছে। মায়ানমারের সেনাবাহিনী তার বিরোধীদের এবং যারা শাসক সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালাচ্ছে তাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর সহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যের সাথে মায়ানমারের ১,৬৪০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। গত সপ্তাহে, ভারত ওই দেশে সহিংসতার সম্পূর্ণ অবসান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ফেডারেল গণতন্ত্রের দিকে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছিল।