রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিল গয়না ভর্তি ব্যাগ! ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত গড়ল শ্রমিকের নাবালিকা কন্যা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চুরি, রাহাজানি এবং হিংসাত্মক ঘটনার খবরই সবচেয়ে বেশি সামনে আসে। যদিও সেই সব খবরের ভিড়েই এমন কিছু খবর উপস্থিত থাকে যেগুলি খুব সহজেই মন জয় করে নেয় সবার। সম্প্রতি ঠিক সেই রকমই এক খবর ফের উঠে এসেছে শিরোনামে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয় যে, জীবনে চলার পথে সর্বদা সৎ থাকতে হয়। যদিও, বর্তমান সময়ে এই সৎ মানুষের সংখ্যাই ক্রমশ কমে আসছে। তবে, এবার এক দরিদ্র নাবালিকা সততার এক দারুণ নজির স্থাপন করল।

জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাইসেন জেলায় বসবাসকারী ১৩ বছর বয়সী রীনা রাস্তার ধারে পড়ে থাকা একটি ব্যাগ দেখতে পায়। এমতাবস্থায় ব্যাগ খুলতেই ভেতরে থাকা একাধিক সোনার গয়না নজরে আসে তার। যার মূল্য ছিল প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। এমতাবস্থায়, এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক হয়ে যায় সে। পাশাপাশি, বাড়িতে আসার পর রীনা ওই ব্যাগের কথা তার বাবা মঙ্গল সিং হরিজনকে জানায়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মঙ্গল পেশায় একজন শ্রমিক।

ব্যবসায়ীর মেয়ের হাত থেকে পড়ে যায় ব্যাগটি: এমতাবস্থায় মঙ্গল সিং সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে ব্যাগটির বিষয়ে অবহিত করেন। এরপর রীনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উদয়পুর থানায় ডাকা হয়। সেখানেই রীনা থানার ইনচার্জ প্রকাশ শর্মাকে ব্যাগটির কথা জানায় এবং পরে ব্যাগটি পুলিশের হাতেও তুলে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে যে ব্যাগটি, কাকারুয়া গ্রামে বসবাসকারী যশপাল সিং প্যাটেল নামে এক সোনা দোকানের মালিকের। এমতাবস্থায়, যশপাল সিং তাঁর মেয়ের সাথে গয়না ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাইকে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই ব্যাগটি তাঁর মেয়ের হাত থেকে রাস্তায় পড়ে যায়। যা পরে রীনা খুঁজে পায়।

রীনাকে পুরস্কৃত করা হয়: এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রীনা এবং তার বাবা মঙ্গলের সততায় খুশি হয়ে, যশপাল সিং প্যাটেল তাঁদের ৫১ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন। পাশাপাশি, রীনা সহ তার পুরো পরিবারকে নতুন পোশাকও উপহার দিয়েছেন তিনি।

MP Girl returns bag with 7 lakh jewellery 3 1

এছাড়াও, রীনাকে উৎসাহ প্ৰদানের লক্ষ্যে থানার ইনচার্জ প্রকাশ শর্মা তাকে পুরস্কার হিসেবে ১,১০০ টাকা দেন। শুধু তাই নয়, রীনার স্কুলও তাকে এই মহৎ কাজের জন্য পুরস্কৃত করেছে। এদিকে, এই ঘটনা সামনে আসার পরই সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে রীনার নামও।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর