বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এর আগেও সাধারণ মানুষের জন্য মোদী সরকার (Modi goverment) নানান প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন, যেগুলি বর্তমানে এখন ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi) দীর্ঘদিন ধরে ভেবে আসছেন এবং যাতে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ তার সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায়।
মোদী সরকার ৪১ হাজার কৃষকের বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকা পেনশন দেবেন জানিয়েছেন। ৬ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি মহিলা রয়েছেন এই যোজনায়। তাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক প্রমাণিত হতে চলেছে এই যোজনা। যাদের জীবিকার চাষের উপর নির্ভর এখন পর্যন্ত হরিয়ানার লক্ষের বেশি কৃষক রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তিন লক্ষ রেজিস্ট্রেশন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহার, ঝাড়খন্ড উত্তরপ্রদেশে প্রায় আড়াই লক্ষ তারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
মাসে মাসে ২০০ টাকা করে দিয়ে বছরে ৭২ হাজার টাকা পেনশন নিশ্চিত করা। ৩০ বছর বয়স থেকে এই প্রকল্পের অংশগ্রহণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার।মোদী সরকারের দুটি প্রকল্পের মধ্যে প্রথমটি হলো প্রধানমন্ত্রী সমযোগী মানধন এবং ন্যাশনাল পেনশন স্কিম। গত সপ্তাহ পেনশন সপ্তাহ হিসেবে পালন করে মোদি সরকার। এবং সেখানে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বলেন এই দুটি প্রকল্পে খুব সাধারন তাতে কোন ঝামেলা নেই। ২০ লক্ষ কৃষকদের পেনশন দেওয়ার সিধান্ত মোদী সরকারের, দেখে নিন আবেদনের পক্রিয়া।
প্রতিমাসে বিনিয়োগ ৫৫ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। সরকারের দাবি অনুযায়ী এই দুটি প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করতে ২ থেকে ৩ মিনিট সময় লাগবে অর্থাৎ খুবই কম। আর প্রতি মাসে ৫৫ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে দিতে হবে। প্রতি মাসে কত পরিমাণ টাকা দেবে সেটি ওই ব্যক্তির বয়সের ওপর নির্ভর করছে। এই প্রকল্পের সম্বন্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০ বছরে কোন মানুষ যদি এই প্রকল্পের অংশ নেন তাহলে তাকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। বছরে ১২০০ টাকা। আর ৩০ বছরে ৩৬ হাজার টাকা।
সাধারণ মানুষদের জন্য যেমন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী সমযোগী মানধন যোজনা। ব্যবসায়ীদের জন্য মোদী সরকার যে প্রকল্পটি চালু করতে চলেছে সেই প্রকল্পটির নাম এনপিএস অর্থাৎ ন্যাশনাল পেনশন স্কিম।
কমন সার্ভিস সেন্টরে গিয়ে কৃষকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন এর জন্য আধার কার্ড জমি কাগজের ফটোকপি দু’কপি ছবি ও ব্যাংকের পাসবুক এর দরকার পড়বে। রেজিস্ট্রেশন এর জন্য কোন চার্জ দিতে হবে না।
নাম রেজিস্ট্রেশন করার পর তাদের একটি পেনশন ইউনিক নম্বর ও পেনশন কার্ড দেওয়া হবে। তারপর তারা যদি তারা প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন পাবেন। পলিসি হোল্ডারের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ৫০ শতাংশ পেনশন পাবেন। কেউ মাঝখানে ছেড়ে দিতে চাইলে, তাদের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। যত টাকা জমা করেছেন ব্যাংকের সুদের হার হিসেবেই টাকা সহ ফেরত দেওয়া হবে।