রাখে হরি মারে কে! একদিনের শিশুকে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল মা, কান্না শুনে প্রাণ বাঁচালেন কৃষক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সন্তানের সঙ্গে তার মায়ের টান সবসময়ই অকৃত্রিম। চিরকালীন এই সম্পর্ক পৃথিবীর সবথেকে পবিত্র সম্পর্ক হিসেবে পরিগণিত হয়। কিন্ত, মাঝে মাঝে এমন সব ঘটনা ঘটে যেখানে এই সম্পর্কেই পরে কালির দাগ। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা জানতে পেরে রীতিমতো শিউরে উঠছেন সকলে।

মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীতে এক নিষ্ঠুর মা যা করেছেন তা বর্ণনা করার ভাষা সত্যিই নেই। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরই এক নবজাতককে মাটিতে পুঁতে চলে যান কেউ। কিন্তু, গর্তটা খুব একটা গভীর না থাকায় কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যায় ওই নবজাতকটি। এদিকে, এক কৃষক কান্না শুনে সদ্যজাতটিকে প্রাণে বাঁচান।

ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরী জেলার পোহারি তহসিলের সরজাপুর গ্রামে। একদিনের এই নবজাতক শিশুটিকে কেউ একজন মাঠের ধারের কাছে একটি গর্তে জীবন্ত পুঁতে ফেলে তার উপর পাথর ঢাকা দিয়ে চলে যায়। পাশাপাশি, সেটি ঝোপঝাড় দিয়েও ঢাকা ছিল, যাতে কেউ সেখানে পৌঁছতে না পারে।

যদিও, গর্তটা খুব একটা গভীর না থাকায় নবজাতকটি কাঁদতে শুরু করলে মাঠে গবাদি পশু চরাতে আসা এক কৃষক তা শুনতে পান। এদিকে, তৎক্ষণাৎ সেই কৃষক ঝোপ-ঝাড় এবং পাথর সরিয়ে নবজাতকটিকে মাটিতে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়ে যান।

এদিকে, সদ্যজাতটি জীবিত থাকায় ওই কৃষক অবিলম্বে এই ঘটনাটি পুলিশকে জানান এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নবজাতকটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সদ্যজাতটির মাথায়, হাঁটুতে এবং পায়ে আঘাতের কারণে তাকে SNCU শিবপুরীতে ভর্তি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই, এই ঘৃণ্য ঘটনায় কারা কারা যুক্ত তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির ওজন ২.১৫৫ কেজি। আপাতত চিকিৎসকরা সদ্যজাতটির চিকিৎসা শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন যে, বুধবার সকালেই শিশুটির জন্ম হয়েছে। পাশাপাশি, যে মাঠে তাকে পাওয়া গেছে সেটি বন সংলগ্ন এলাকা। গর্তটি গভীর না হওয়ায় শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাস চলতে থাকে এবং সে কোনোমতে বেঁচে যায়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর