বাংলা হান্ট ডেস্ক : ASI রিপোর্টকে মান্যতা দিয়ে মসজিদের বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি দিয়েছে বারাণসী আদালত। সেই নির্দেশ মেনে জ্ঞানবাপী (Gyanvapi) মন্দিরে কাল রাত থেকেই শুরু হয়েছে পুজো। ভোর রাত থেকে শুরু হয়েছে আরতি। খুলে দেওয়া হয়েছে জ্ঞানবাপীর বেসমেন্ট। যদিও বারাণসী আদালতের এই রায় এবং ASI রিপোর্ট মানতে রাজি নয় মুসলিম পক্ষ। এমনকি হিন্দু মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছে এই দাবিকেও অস্বীকার করেছে মুসলিম পক্ষ। আর এবার তারা পৌঁছালো সুপ্রিম কোর্টে।
সূত্রের খবর, গতকাল রাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ। জরুরি মামলার আবেদন করে মুসলিম পক্ষ দাবি করেছে, হিন্দু পক্ষের প্রতিটি কাজকর্মের পেছনে যোগী সরকারের হাত রয়েছে। এবং যোগীর মদতেই প্রশাসন রাতারাতি আদালতের সিদ্ধান্তকে বাস্তব করে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে। সূত্রের খবর, এমন পরিস্থিতিতে এলাহবাদ আদালতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এইদিন শীর্ষ আদালতে করা আবেদনে মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করতে। যেখানে যোগী প্রশাসন বুধবার রাতেই মসজিদ চত্বরে বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেছে। শুরু হয়েছে মসজিদের পশ্চিম প্রান্তের গ্রিল কাটার প্রক্রিয়া। এসব কিছুর পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মুসলিম পক্ষ।
আরও পড়ুন : হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হতেই হুলুস্থুল ঝাড়খণ্ডে, ফোন বন্ধ একাধিক বিধায়কের! বড় ওলটপালটের আশঙ্কা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই ASI-র তরফে রিপোর্টে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে যে, মসজিদের ওজুখানার চত্বরে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। এছাড়াও একাধিক হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি ও ভাস্কর্যের নিদর্শন মিলেছে। মসজিদ চত্বরে মিলেছে নানা হনুমান, বিষ্ণু, সাপের দৈব ভাস্কর্য। এইসব হিন্দু দেবদেবীর নিদর্শন হিন্দু মন্দিরের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন : জিও-এয়ারটেলের মাথায় হাত, ঝড়ের গতিতে চলবে ইন্টারনেট! বাজার কাঁপাতে 5G আনছে VI
এর আগে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে পাঁচ জন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করেন। সেই সময় তারা মা শৃঙ্গার গৌরীর পুজো করার অনুমতি চেয়ে আবেদনও জানান। সেবার সেই আবেদন খারিজ করা হলেও পরে বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটির নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে শুরু হয় ভিডিও সার্ভে। এবং ASI-র তরফে যে মুখবন্ধ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব।