সুখবর! আগামীকাল থেকেই দেশজুড়ে লাগু হচ্ছে রেশনের নতুন নিয়ম, নির্দেশ জারি করল সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার রেশন কার্ডধারীদের (Ration Cardholders) জন্য মিলল দারুণ সুখবর। মূলত, কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) তরফে জানানো হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে রেশনের নিয়মে বড় ধরণের পরিবর্তন করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, আপনিও যদি একজন রেশন কার্ড হোল্ডার হন এবং বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পের সুবিধা পান সেক্ষেত্রে আপনার নতুন নিয়মটি জানা উচিত। উল্লেখ্য যে, এই নতুন নিয়মটি দেশের ২৬৯ টি জেলা সহ একাধিক জায়গায় প্রযোজ্য হবে।

২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে সারা দেশে কার্যকর করা হবে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সরকার বলেছে এবার ফর্টিফায়েড চাল (Fortified Rice) বা সুরক্ষিত চাল (পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ) পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। দেশের একাধিক জেলায় এই সুবিধা চালু হয়েছে। পাশাপাশি, এটি ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে সমস্ত জেলায় কার্যকর করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়ার দেওয়া তথ্য অনুসারে, এটি রাজস্থানের একাধিক জেলায় ২০ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন যে, পুষ্টিকর দ্রব্যগুলি সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। আর ওই কারণেই সরকার ফর্টিফায়েড চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রক্তাল্পতার সমস্যা দূর হবে: উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে শিশু এবং মহিলাদের রক্তাল্পতার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। মূলত, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টযুক্ত ফর্টিফায়েড চাল বিতরণের প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল।

ration

দেশে ফর্টিফায়েড চালের উৎপাদন ১৭ লক্ষ টন: এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত আমরা ২৬৯ টি জেলায় PDS (রেশন দোকান)-এর মাধ্যমে ফর্টিফায়েড চাল বিতরণ শুরু করছি। আমরা যে গতিতে এগোচ্ছি তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাকি জেলাগুলিকেও এর আওতায় আনা হবে।” তিনি বলেন, দেশে প্রায় ৭৩৫ টি জেলা রয়েছে। যার মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ চালকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য যে, দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে ফর্টিফায়েড চাল মজুত রয়েছে। বর্তমানে এই চালের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৭ লক্ষ টন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর