করোনা ভাইরাস নিয়ে আওয়াজ তোলা ডাক্তারের হটাৎ মৃত্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, সবকিছুই কি ষড়যন্ত্র!

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মারণরোগ করোনা ভাইরাস (COVID-19) চীনের (Chaina) উহান প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশকেই গ্রাস করে ফেলেছে। কিন্তু চীন এখনও এই রোগ উৎপত্তিতে তাঁদের ভূমিকাকে আড়াল করে চলেছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই উহানের সিফুড মার্কেট অঞ্চলে বসবাসকারী কিছু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে দিয়েছিল। এই আক্রান্ত মানুষদের রক্তের নমুনা উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি ন্যাশানাল বায়ো সেফটি ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানকার বৈজ্ঞানিকরা রক্তের নমুনা টেস্ট করে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে জানতে পেরেছিল। কিন্তু চীনের আধিকারিকরা বৈজ্ঞানিক এবং ডাক্তারদের এই সম্পর্কে চুপ থাকতে বলেন।

doctor

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে উহানের ২৪ বছর বয়সি ডাক্তার লিভেন লিয়ানের হাসপাতালে সিফুড মার্কেটের প্রায় ৭ অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য যায়। লি ভেন লিয়ানই হলেন প্রথম ডাক্তার যিনি বিশ্বকে সর্বপ্রথম এই মারণ ভাইরাসের বিষয়ে জানান। রোগীদের লক্ষণ দেখেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে, বিশ্বে একটি সাংঘাতিক মারণব্যাধি আসতে চলেছে। তিনি তৎক্ষণাৎ এই রোগের বিষয়ে অন্যান্য ডাক্তারদের সচেতন করে দেয়। ভি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যেমে তিনি তাঁর মেডিক্যাল কলেজের গ্রুপে জানিয়ে দেন। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর ওই ম্যাসেজের স্ক্রীন শট ভাইরাল হয়ে যায়।

jing ping 2222

 

ডাক্তার লিভেন লিয়ান ধীরে ধীরে এই রোগের বিষয়ে জনগণকে সতেচন করছিল। কিন্তু তাঁর মধ্যেই এই খবর চীন ছাড়িয়ে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। জিংপিং সরকার মনে করেন করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সমগ্র বিশ্ব জেনে যাওয়ায়, চীনের অনেক অপমান হয়েছে। এর ফলে তাঁদের আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে। তাই চীন সরকার ডাক্তার লিভেন লিয়ানের নামে মামলা দায়ের করেন। এবং লি ভেন লিয়ানকে ক্ষমা চাইতে বলেন। অবশেষে ডাক্তার লি ভেন লিয়ানের হঠাৎ করেই মৃত্যু হয়। কিন্তু বলা হয় ডাক্তারের করোনায় মৃত্যু হয়েছে।

 

চীনের এই ভাইরাসের বিষয়ে যে ব্যক্তিই আঙ্গুল তুলেছিল, চীন তাকেই তাঁর রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সমগ্র বিশ্বের কাছ থেকে এই মারণরোগ সম্পর্কে একদম লুকিয়ে গেছিল।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর