সততার নজির! সমুদ্র সৈকতে কুড়িয়ে পাওয়া ৩২ লক্ষ টাকার আংটি আসল মালিককে ফিরিয়ে দিলেন ব্যক্তি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পাল্টে যাচ্ছে সবকিছুই। তার সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে মানসিকতাও। এখন প্রায়শই বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের সততা (Honesty) নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও, ঠিক সেই আবহেই এমন কিছু ঘটনাও সামনে আসে যেখানে কিছু কিছু মানুষের ভালো কাজ এবং সততা মুগ্ধ করে সবাইকে। এমনকি, সেই ঘটনাগুলি উঠে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক অবাক করা ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সম্প্রতি আমেরিকায় (America) বসবাসকারী এক ব্যক্তি সমুদ্র সৈকতে ঘোরাঘুরি করার সময় একটি হিরের আংটি (Diamond Ring) খুঁজে পান। যার দাম ছিল প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। এমতাবস্থায়, ওই ব্যক্তি এই মহামূল্যবান আংটিটিকে নাগালের মধ্যে পেয়েও লোভের বশবর্তী না হয়ে সেটির আসল মালিককে খুঁজে তাঁকে আংটিটি ফিরিয়ে দিয়ে এক নজির স্থাপন করেছেন।

ঠিক কি ঘটেছে: সম্প্রতি ৩৭ বছর বয়সী জোসেফ কুক ফ্লোরিডার সেন্ট অগাস্টিনের হ্যামক বিচে গিয়েছিলেন। সেখানেই জোসেফের চোখ সমুদ্র সৈকতের বালিতে জ্বলজ্বল করতে থাকা একটি আংটির উপর পড়ে। এমতাবস্থায়, জোসেফ বালি থেকে আংটিটি তোলার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, সেটি একটি হিরের আংটি। এমনকি, সেটির দামও বিপুল।

যদিও, ওই আংটি সম্পর্কে জানতে পেরেও তিনি সেটিকে নিজের কাছে রাখতে চান নি। বরং আংটিটিকে আসল মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জোসেফ। যে কারণে তিনি আংটির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। পাশাপাশি, স্থানীয় অলঙ্কারের দোকানগুলিকে ফোন করে আংটির মালিককে খুঁজে বের করার চেষ্টাও শুরু করেন তিনি।

whatsapp image 2022 12 12 at 11.58.58 am

এদিকে, জোসেফ আংটিটি পাওয়ার দুই সপ্তাহ পর, একজন ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে জানান যে, তাঁর স্ত্রীর আঙুল থেকে ওই আংটি খুলে পড়ে যায়। এরপরে, জোসেফ সেই দম্পতির সাথে দেখা করেন এবং তাঁদের সেই আংটি ফেরতও দেন। এমতাবস্থায়, ফের ওই বহুমূল্যের আংটিটি ফিরে পেয়ে খুব খুশি ওই দম্পতি। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, জোসেফ যখন আংটির আসল মালিককে খুঁজছিলেন, তখন তিনি একাধিক অলঙ্কার দোকানের সাথে কথা বলেন এবং সেগুলির কাছে আংটির ছবিও পাঠিয়েছিলেন। ওই দোকানগুলির একটি এই আংটির দাম জানিয়েছিল ৩২ লক্ষ টাকা। তারপরেও সেটির প্রতি কোনো লোভ প্রদর্শন করেন নি জোসেফ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর