এক টুকরো চিপসের দাম ১.৯০ লক্ষ টাকা! কারণ জানলে ঘুম উড়ে যাবে আপনারও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কোম্পানির চিপস আমরা প্রায়শই খেয়ে থাকি। পাশাপাশি, সেগুলির দামও অত্যন্ত সুলভ হওয়ায় খুব সহজেই সকলে এগুলিকে কিনতেও পারেন। অনেকে আবার বাড়িতেও চায়ের সাথে চিপস খেতে পছন্দ করেন। এক কথায়, এটি এমন একটি জিনিস যেটি যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময়েই খাওয়া যেতে পারে।

তবে, আমরা যে চিপস গুলিকে খেয়ে থাকি সেগুলির দাম হয় সাধ্যের মধ্যেই। এমনকি, খুব অল্প খরচের মাধ্যমেই আমরা বিভিন্ন ফ্লেভারের চিপসও পেয়ে থাকি। তবে, আপনি কি জানেন, এমনও একটি চিপস রয়েছে যেটির একটি টুকরো কিনতে গেলেই খরচ করতে হবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা! হ্যাঁ, এটা শোনার পর নিশ্চই ভিরমি খেয়েছেন আপনি। তবে, এই ঘটনাটি কিন্তু একদমই সত্যি। অর্থাৎ সত্যিই এমন একটি চিপস রয়েছে যা কিনতে গেলে আপনাকে কিন্তু ওই বিপুল পরিমান টাকা খরচ করতেই হবে।

একটি চিপস বিক্রি হচ্ছে প্রায় দু’লক্ষ টাকায়:
জানা গিয়েছে যে, জনপ্রিয় অনলাইন বিপণন সংস্থা eBay-তে শুধুমাত্র একটি চিপস বিক্রি হচ্ছে ২,০০০ পাউন্ডের বিনিময়ে। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার সমান। এখন, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে এই চিপসের বিশেষত্ব ঠিক কি? মূলত Pringles চিপসের একটি টুকরো eBay-তে বিক্রি হচ্ছে ওই বিপুল মূল্যে। এই প্রসঙ্গে সংস্থার বিশ্বাস যে, এই চিপস গুলি অত্যন্ত মুচমুচে এবং আকারে খুব বিরল হয়। পাশাপাশি, এই চিপসে টক ক্রিম এবং পেঁয়াজের স্বাদ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ওই চিপস গুলির প্রান্তটিও ভাঁজ করা থাকে।

এই প্রসঙ্গে বাকিংহামশায়ারের হাই ওয়াইকম্বের এক দোকানদার দাবি করেছেন যে, ওই চিপসগুলি একেবারে নতুন, অব্যবহৃত থাকে এবং কোনোরকম ক্ষতিও করেনা। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, eBay-তে এই দুর্লভ চিপস শুধু তিনি একাই বিক্রি করেন না।

পাশাপাশি, অনেকেই আছেন যাঁরা এই চিপস অত্যন্ত কম দামেও বিক্রি করছেন। Reddit-এ, একজন বিক্রেতা মাত্র ৫০ পাউন্ডের বিনিময়ে টক ক্রিম এবং পেঁয়াজের সাথে দু’টি চিপস বিক্রি করছেন। পাশাপাশি, ম্যানচেস্টারে, অতিরিক্ত ১৫ পাউন্ডের ডেলিভারি চার্জ সহ একটি হানি গ্লেজড হ্যাম ফ্লেভারড Pringles-ও পাওয়া যায়। তাহলে আপনিও কি এই মূল্যের বিনিময়ে বিরল এই চিপসের স্বাদ নিতে চান?

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর