বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে ততই দেশজুড়ে বাড়ছে শ্লীলতাহানি-ধর্ষণের মত ঘৃণ্য ঘটনা। এমনকি, ধর্ষকদের লোলুপ দৃষ্টির শিকার হতে হচ্ছে নাবালিকা থেকে শুরু করে শিশুদেরকেও। এমতাবস্থায়, ফের এইরকম একটি ঘটনা সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে এক পুরোহিতের (Priest)। যা স্বাভাবিকভাবেই অবাক করেছে সকলকে।
জানা গিয়েছে, এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তির ওঠে একজন পুরোহিতের দিকে। এমতাবস্থায়, ওই নাবালিকার বাবা বিষয়টি জানতে পেরে সেই পুরোহিতকে বেদম প্রহার করেন। এদিকে, মারধরের পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পুলিশ অভিযুক্ত পুরোহিতকে গ্রেপ্তার করার আগেই তিনি পালিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের মাদুরভোয়ালে। খবর অনুযায়ী, শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত ৫৫ বছর বয়সী চন্দ্রশেখর গঙ্গাইয়াম্মান মন্দিরের পুরোহিত বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক অনুষ্ঠানে নাবালিকাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে।
মূলত, ওই মন্দিরে থাকা এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির পরেই ওই পুরোহিতের কুকীর্তির কথা সবাই জানতে পারেন। এদিকে, ওই নাবালিকার বাবাও ওই মন্দিরের থাকতেন। এমতাবস্থায়, তিনি তাঁর মেয়ের কাছে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই নাবালিকা স্বীকার করে যে, ওই পুরোহিত তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছেন। শুধু তাই নয়, এই কথা কাউকে না জানানোর হুমকিও দেন ওই পুরোহিত।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে, ওই নাবালিকা যখন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল তখন ওই পুরোহিত অশুভ আত্মাকে তাড়ানোর জন্য পুজো করার অজুহাতে ওই পরিবারের কাছে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায়, ওই নাবালিকা ও তাঁর মাকে ১৫ দিন মন্দির চত্বরে থাকতে বলা হয়। এমতাবস্থায়, মেয়ের কাছ থেকে পুরো বিবরণ জেনে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তার বাবা।
শুধু তাই নয়, ওই পুরোহিতকে খুঁজে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। তারপরেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, এই ঘটনার ফলে নাবালিকার বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্ত পুরোহিতের বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা দায়ের করে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হাসপাতালে যায়। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান ওই পুরোহিত।