এবার ৮ ঘন্টার পথ পেরোতে পারবেন মাত্র ২৫ মিনিটে! কেদারনাথে শুরু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প

বাংলা হান্ট ডেস্ক: তীর্থযাত্রীদের জন্য এবার মিলল বড়সড় সুখবর! শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) স্বপ্নের একটি প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিল “ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড” (The National Board for Wildlife)। জানা গিয়েছে, এবার সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের মধ্যে শুরু হবে রোপওয়ে পরিষেবা। যার ফলে ৮ ঘন্টার পথ পেরোনো যাবে মাত্র ২৫ মিনিটে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এই ঘটনাই এবার ঘটতে চলেছে।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এই রোপওয়ে পরিষেবার পাশাপাশি রাম্বাদা থেকে গরুরচট্টির মধ্যে তৈরি হবে ট্রেক রুটও। যার ফলে বাড়তি উৎসাহ তৈরি হবে পর্যটকদের মধ্যে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মোট ১২ কিমি দৈর্ঘ্যের এই রোপওয়ে নির্মাণের জন্য খরচ পড়বে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। যার জন্য ২৬.৪৩ হেক্টর অরণ্যভূমির প্রয়োজন হবে।

এছাড়াও, মোট ২২ টি টাওয়ার নির্মাণের পাশাপাশি গৌরীকুণ্ড, চীরবাসা, লিঞ্চলি ও কেদারনাথ এই চারটি স্টেশনও থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, রাম্বাদা থেকে গরুরচট্টির মধ্যে ট্রেক রুট তৈরির প্রস্তাবেও সবুজ সংকেত দিয়েছে “ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড”। এর পাশাপাশি গোবিন্দঘাট-হেমকুণ্ড সাহিব রোপওয়ে প্রকল্পের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বোর্ডকে।

এমতাবস্থায়, সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে খুব দ্রুত ওই এলাকায় রোপওয়ে চলাচল দ্রুত শুরু হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের দূরত্ব হল প্রায় ১৮ কিমি। প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত দুর্গম ওই পথটি পায়ে হেঁটে পেরোতে সময় লেগে যায় প্রায় ৮ ঘণ্টা। এদিকে, ওই রাস্তা গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত না হওয়ায় অন্য কোনো উপায়ও থাকে না যাত্রীদের কাছে।

WhatsApp Image 2022 10 15 at 6.05.03 PM

পাশাপাশি, দেখা যাচ্ছে যে প্ৰতি বছরই রীতিমতো পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কেদারনাথে আগত তীর্থযাত্রীর সংখ্যা। এমতাবস্থায়, তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে উত্তরাখণ্ড সরকার রোপওয়ে পরিষেবা শুরু করার ক্ষেত্রে প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যের “ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড”-কে। ওই প্রস্তাবে গত জুন মাসে সম্মতি মেলায় বিষয়টি এরপর “ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড”-এর কাছে পাঠানো হয়। তারপরই কেন্দ্রীয় বোর্ডের সম্মতি মেলে। যার ফলে খুব শীঘ্রই ওই পরিষেবা সংক্রান্ত কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর