বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর (Durga Puja) কাউন্টডাউন। এক বছরের অপেক্ষার শেষে পুজোর কটা দিন আনন্দে মেতে উঠতে তাই এখন থেকেই চলছে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা। কিন্তু, ঠিক সেই আবহেই কার্যত এক দুঃসংবাদ মিলল। এমনিতেই কলকাতার পুজোগুলির মধ্যে মহম্মদ আলি পার্ক (Muhammad Ali Park)-এর পুজোকে ঘিরে এক বাড়তি আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি তিলোত্তমার বড় বড় পুজোগুলির তালিকাতেও স্থান পায় মহম্মদ আলি পার্কের পুজো।
এমতাবস্থায়, প্যান্ডেলের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল সেখানে। তৈরি হয়ে গিয়েছিল বাঁশের কাঠামোও। কিন্তু, ঠিক সেই আবহেই মহম্মদ আলি পার্কে প্যান্ডেল তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে বলল পুরসভা। এমনকি, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি নোটিসও দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, পুজোর মাত্র কিছুদিন আগেই পুরসভার ওই নোটিস পেয়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সেখানকার উদ্যোক্তারা।
জানা গিয়েছে, মহম্মদ আলি পার্কের ভূগর্ভস্থ জলাধারটি অত্যন্ত পুরোনো এবং জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যদিও, সম্প্রতি ৪০ লক্ষ গ্যালন জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই জলাধারটির কিছুটা অংশ সংস্কার করা হলেও, বেশিরভাগ অংশই এখনও পূর্বাবস্থায় রয়েছে। এমতাবস্থায়, সেখানে তৈরি হওয়া পুজো মন্ডপের ভারে জলাধারটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেই কারণেই প্যান্ডেল তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে পুরসভার ডিজি ওয়াটার সাপ্লাইয়ের তরফে।
এদিকে, এহেন নোটিসে কার্যত প্রবল অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল মহম্মদ আলি পার্কের পুজো। উদ্যোক্তাদের মতে, স্থানীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে কাউন্সিলরা খুঁটিপুজোতে এসেছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা সবটা পর্যবেক্ষণও করেন। সেইসময়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। তারপরে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু হওয়ার পর প্রস্তুতিও অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, এই নোটিস পেয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায় মহম্মদ আলি পার্কের পুজো কমিটিকে নোটিস পাঠিয়ে পুজোটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যার ফলে মহানগরীর অন্যতম পুজো “ডেস্টিনেশন” মহম্মদ আলি পার্কের পুজো এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে।