বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সমগ্র দেশজুড়েই রেল (Indian Railways) পরিষেবাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) মতো অত্যাধুনিক সেমি হাই স্পিড ট্রেন। তবে, এবার নতুন করে আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে বুলেট ট্রেনকে (Bullet Train) ঘিরে। ইতিমধ্যেই দেশে জোরকদমে চলছে বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ। গুজরাটের অংশের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ঠিক এই আবহেই বড় সুখবর দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)।
তিনি জানিয়েছেন যে, মুম্বই থেকে আমেদাবাদ লাইনে হাইস্পিড ট্রেনের জন্য প্রথম স্ট্রেচের কাজ ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি, প্রকল্পের মহারাষ্ট্রের অংশে থাকা টানেলের কাজও পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত শুক্রবার থেকে মহারাষ্ট্রে এই টানেলের কাজ শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, আমেদাবাদে এই প্রকল্পের সূচনা হয় ২০১৭ সালে ১৪ সেপ্টেম্বরে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ট্রেন প্রকল্পের সূচনা করেন।
এদিকে, এই প্রকল্পে সময় লাগার বিষয়ে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের সরকারের আমলে প্ৰকল্পের কাজ ওই রাজ্যে ধীর গতিতে এগোতে থাকে। তবে, এখন সেই কাজ গতি পেয়েছে। পাশাপাশি, শুক্রবার থেকে শুরু হল টানেলের কাজও। মূলত, মহারাষ্ট্রে এক নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিক্রোলি শ্যাফ্টের কাজ শুরু হয়েছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন “২১ কিমি দীর্ঘ এই টানেলের ৭ কিমি রয়েছে সমুদ্রের নিচে। যার মধ্যে সবথেকে গভীর পয়েন্টটি রয়েছে ৫৬ মিটার জলের তলায়। এছাড়াও, এই টানেল ৪০ ফুট চওড়া।”
আরও পড়ুন: ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি নেতাকে নিকেশ করল সেনা, চরম উত্তেজনা দুই দেশে
জানিয়ে রাখি যে, টানেলের মধ্যে বুলেট ট্রেনের গতি হবে প্রতি ঘন্টায় ৩২০ কিমি। পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে যাতে কাজের গতি বাড়ানো যায় সেজন্য বেশকিছু অভিনব পদ্ধতিও তৈরি করা হচ্ছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন লাইনের দুই প্রান্তের কাজই সমান গতিতে চলছে। তাঁর মতে, “এই হাইস্পিড ট্রেনের প্রথম সেকশন শুরু হবে ২০২৬ সালের জুলাই অগাস্ট থেকে। যেটি সুরাট থেকে বিলিমোরার মধ্যে চলাচল করবে।”
এদিকে, ইতিমধ্যেই মুম্বাইতে ২১ কিমি এই দীর্ঘ টানেল তৈরির জন্য চারটি জায়গায় গভীরভাবে খননের কাজ শুরু হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই টানেলের সবচেয়ে বড় স্ট্রেচটি থাকছে ভিকরোলিতে। পাশাপাশি, ওই জমিটি “গোদরেজ অ্যান্ড বয়েস”-এর তরফে ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, জাপানের এই হাই স্পিড রেল প্রজেক্টে শিঙ্কানসেন সিস্টেমকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। রেলমন্ত্রীর মতে, “এটি হল বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ সিস্টেম।