বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দক্ষিণবঙ্গ তছনছ করে দিল কয়েক ঘণ্টার ঘূর্ণিঝড়। গতিতে আয়লাকেও ছাপিয়ে গেল আমফান (Amphan)। কলকাতায় ঘূর্ণিঝড়টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। তবে এখনই ঝড়বৃষ্টি থেকে মুক্তি মিলছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাল, বৃহস্পতিবার গোটা দিনই বাংলায় ঝড়বৃষ্টি চলবে। রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হবে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানান, ২১ তারিখ সকাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় তার সাইক্লোন স্ট্যাটাস ধরে থাকবে। তাণ্ডব চলবে। ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশে যাবে সেটি। অতিগভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে বাংলাদেশে। এর ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। ২২ তারিখ, শুক্রবার থেকে পরিচ্ছন্ন আকাশ দেখা যেতে পারে। ঝড় কমে গেলেও জলীয়বাষ্প থাকবে বাতাসে। তার ফলে বৃহস্পতিবার সারাদিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আমফানের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,”সাংঘাতিক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি আমরা। আমি আজ নিজে উপলব্ধি করলাম। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। টোটালটাই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ব্রিজ, রাস্তা, ঘরবাড়ি সবটা। সব খবর তো এখনও পাইনি। বিডিও,এসডিও সকলে আছেন। যা খবর পাচ্ছি, ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। বেশিরভাগই গাছ ভেঙে মারা গিয়েছে। ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। পুরোটা ক্যালকুলেট করতে পারিনি। বিদ্যুত সংযোগ নেই। স্তম্ভিত, খুব খারাপ লাগছে। মাস ছয়েক আগে বুলবুল থেকে বাঁচাতে টোটালটা মেরামত করে দিয়েছিলাম।”