বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) প্রসঙ্গ। ঠিক এই আবহেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) তিরিশ বছরের পুরোনো প্রতিশ্রুতির বিষয়টিও উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। মূলত, প্রধানমন্ত্রীর করা একটি প্রতিজ্ঞা এবার পূরণ হতে চলেছে।
১৯৯২ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী “রাম প্রতিজ্ঞা” গ্রহণ করেছিলেন: উল্লেখ্য যে, ১৯৯২ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী অন্যান্য রাম ভক্তের মতো তাঁর দেবতার দর্শন পেতে অযোধ্যায় ছিলেন। ওইদিনই শ্রী রাম জন্মভূমিতে রামলালাকে দেখার পর, তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে একটি প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেছিলেন। যেটি এবার পূরণ হতে চলেছে। আগামী ২২ জানুয়ারি তারিখে যখন রামলালার মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে ঠিক সেই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর “রাম প্রতিজ্ঞা”-ও পূরণ হবে।
মূলত, রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে অন্যতম প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, ঈশ্বরের নিজের মুখ প্রথমে একটি আয়নার মাধ্যমে দেখানো হয়। এমতাবস্থায়, ওই প্রথার পরেই রামলালার দর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর এর মাধ্যমেই মোদীর প্রায় তিন দশকের পুরোনো “রাম প্রতিজ্ঞা” পূরণ হবে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বাবরের সেনাপতি মীরবাকি প্রায় ৫০০ বছর আগে ভগবান রামের জন্মস্থানে নির্মিত মন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন। এদিকে, স্বাধীনতার আগে থেকেই বিজেপি এবং আরএসএস-এর সহযোগী সংগঠনগুলি তাঁর জন্মস্থানে ঈশ্বরের মন্দির দেখার স্বপ্ন নিয়ে ধীরে ধীরে তাদের লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগোচ্ছিল। এদিকে, ১৯৯১ সালের ১১ ডিসেম্বর বিজেপি কন্যাকুমারী থেকে তার একতা যাত্রা শুরু করে। যা ১৪ জানুয়ারি ১৯৯২-তে অযোধ্যায় পৌঁছয়। সেই সফরের সময়ে, প্রবীণ বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর যোশী এবং নরেন্দ্র মোদী, পূর্বের সংঘ প্রচারক হিসাবে এবং গুজরাট বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে, তাঁবুতে উপস্থিত রামলালাকে দেখতে এসেছিলেন। সেই সময়ে রামের জন্মস্থান পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মোদী।
আরও পড়ুন: বাবরের দেশ দিল রামলালার অভিষেকের জল! ইরান থেকে মুসলিম মহিলা, পাক থেকে পাঠালেন সিন্ধিরা
যারা পিএম মোদীকে ঘনিষ্ঠভাবে চেনেন তাঁদের মতে, সেইসময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে রামলালা মন্দিরে বসার পরে, তিনি দর্শনে আসবেন। তারপরে সময়ের চাকা এগিয়ে যেতে থাকে। এবং আইনি লড়াই শেষে সুপ্রিম কোর্ট মন্দির নির্মাণের পথ পরিষ্কার করার পরে, প্রধানমন্ত্রী মোদী মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন এবং এখন প্রাণ প্রতিস্থা অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: উন্নত প্রযুক্তিই বাড়াচ্ছে চিন্তা! হাইকোর্টের কয়েক হাজার ল ক্লার্ক করছেন চাকরি হারানোর আশঙ্কা
আর এইভাবেই, পুজো শেষ হওয়ার শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন ভগবানের প্রথম দর্শন করবেন তখন তাঁর ৩০ বছরের পুরোনো প্রতিশ্রুতির পূরণ হবে। জানিয়ে রাখি যে, ১৯৯০-এর দশকে, বিজেপি রাম মন্দির আন্দোলনকে তীব্র করেছিল। সেই সময় লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে সোমনাথ থেকে যে রথযাত্রা বের হয়েছিল তাঁর অন্যতম মূল ভূমিকায় ছিলেন নরেন্দ্র মোদী।