বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার ছেলে শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়েই প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর আবারও পুরনো ঘরে ফিরলেন মুকুল রায় (mukul roy)। একটা সময় তৃণমূল (tmc) ছেড়ে বিজেপিতে (bjp) গেলেও, আবারও ঘরে ফিরলেন মুকুল রায়। তবে মুকুলের প্রত্যাবর্তনের পর কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে বহু কথা, যা বিজেপির অন্দরেই বার বার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপির বাংলা জয়ের স্বপ্ন কার্যত অলীক ধারণা বলেই অনুগামীদের বার বারই সতর্ক করেছিলেন মুকুল রায়। তিনি বলেছিলেন, দলের যা পরিস্থিতি, তাতে করে বিজেপি ৮০ থেকে ১০০ আসনও পাবে কিনা সন্দেহ আছে। নতুন স্ট্রাটেজিতে দলের প্রচার চালানোর প্রসঙ্গ তুললেও, বার বার তাঁকে দমিয়ে রাখা হত বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠায়, শেষের দিকে মুখে কুলুপ এঁটে রাখতেন মুকুল রায়। এখন শোনা যাচ্ছে, দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে মুকুল নিন্দা শোনার পরই নাকি একটা সময় কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও মুকুল রায়ের পরামর্শ শোনা বন্ধ করে দেন। এখন বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে- মুকুলের কথা শুনলে আজকের এই দিন আর দেখতে হত না, মুকুল রায়ও দলেই থাকতেন।
জানা গিয়েছে মুকুল রায় সর্বদা যে তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিতেন, তা হল-
মুকুল রায়ের প্রথম বিষয়- বুথ স্তরের সংগঠনে জোর দেওয়ার কথা বলে, জেলার সমস্ত বুথ কমিটির সংখ্যা খাতাকলমে মিলিয় দেখার কথা বহুবার দিলীপ ঘোষকে বলেছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু দিলীপ ঘোষ সেবিষয়ে কখনই কান দেননি বলে অভিযোগ।
দ্বিতীয় বিষয়- কড়া হিন্দুত্বের লাইন না ধরে সংখ্যালঘু নেতাদেরও কিছুটা গুরুত্ব দেওয়া হোক। এটা একেবারেই ভাবা ঠিক নয় যে মুসলিম ভোট পাবে না বিজেপি। মেরুকরণে জোর দেওয়ার ফলে ধর্মীয় আবেগে আঘাত লাগলে, ভোট বাক্সে তার প্রভাব পড়তে পারে।
তৃতীয় বিষয়- দল ব্যাতীত ব্যাক্তিগত আক্রমণ করা উচিৎ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করলে বাংলার মানুষ তা ভালো ভাবে নেবে না। কিন্তু বিজেপি শিবির তখন মুকুল রায়ের কোন কথাই শোনেনি বলে অভিযোগ উঠছে। যার জেরে কোণঠাসা হওয়ার ফলেই মুকুলের তৃণমূলে ফিরে যাওয়া বলে মনে করছেন, দলীয় নেতৃত্বরাই।