বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারত (Bharat) কেন গোটা বিশ্বের কাছেই তিনি রোল মডেল। একজন নোবডি থেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠার সফরটা অতটাও সহজ ছিলনা। আজ আমরা বলছি বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) কথা। এহেন তারকার ব্যক্তিগত জীবনের এমন কিছু তথ্য পাঠকদের জানাবো যা হয়ত অনেকেই জানেননা।
অনেকেই হয়ত জানেন যে পৃথিবীর ভূস্বর্গ কাশ্মীরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে কিং খানের নাম। তার ঠাকুমা ছিলেন কাশ্মীরের বাসিন্দা। তবে শাহরুখ জীবনে কখনও তার জন্মভূমিতে পা রাখেননি। আসলে তিনি জীবনে কখনও কাশ্মীর না যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। কয়েকবছর আগে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ শো-তে হাজির হয়েছিলেন কিং খান। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে খোলসা করেছিলেন তিনি।
আসলে এই প্রোগ্রামে শাহরুখকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সারা বিশ্বজুড়ে তার অবাধ যাতায়াত থাকলেও কাশ্মীরে যেতে এত আপত্তি কেন? জবাবে বাদশাহ বলেন, তার ঠাকুমা থাকতেন কাশ্মীরে। এবং তার বাবা মীর তাজ মোহাম্মদ ছেলেকে জীবনে অন্তত তিনটি জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার দুটি ঘুরতে গেলেও তৃতীয়টিতে কখনও পা রাখেননি।
আরও পড়ুন : ‘৪ ঘন্টা হোটেল রুমে জায়েদ-সায়ন্তিকা’, কী করছিলেন? এবার অভিনেত্রীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন
আসলে সেই সময় শাহরুখের বাবা আরও একটি কথা বলেছিলেন। আর তার সাথে আরও একটি কথা বলেছিলেন তিনি। তিনি বলেন,ইতালি এবং ইস্তানবুল তারা একা একা ঘুরতে পারলেও যদি কাশ্মীর যেতে হয় তাহলে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। কারণ কাশ্মীরের সাথে জুড়ে রয়েছে প্রচুর স্মৃতি। আর সেইসব স্মৃতির বর্ননা তিনিই দিতে পারবেন। তবে ভাগ্য এমনই যে, ছেলে সফল হওয়ার আগেই ইহলোক ত্যাগ করেন তার বাবা।
আরও পড়ুন : গদর ২’ দেখে ‘হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়াই হল কাল! ভিন ধর্মী বন্ধুদের হাতে খুন মলকত সিং
শাহরুখ যখন মাত্র ১৫ বছরের বালক তখন তার বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর জীবনে বহুকিছু পেয়েছেন তিনি। বিশ্বের বহু জায়গায় ঘুরেছেন তবে কখনোই কাশ্মীর যাওয়ার কথা ভাবেননি। কারণ তার বাবা বলেছিলেন, “আমাকে ছাড়া কাশ্মীর দেখো না। আমি তোমাকে দেখাবো।” বাদশা জানান, তার কাশ্মীরি বন্ধুরা তাকে বারবার আমন্ত্রণ জানান তবে কখনোই সেই ডাকে সাড়া দিতে পারেননি। তবে আসন্ন ছবির ‘ডাঙ্কি’র শুটিংয়ের জন্য তাকে এই বছরের এপ্রিল মাসে কাশ্মীর যেতে হয়েছিল।