বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পূর্বেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পুজোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে, তৃতীয় ঢেউ না এলে, খোলা হবে স্কুল। এবার সেই মর্মেই কাজ শুরু করল বিকাশ ভবন (bikash bhaban)। স্কুল খোলার পূর্বের সকল প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিল বিকাশ ভবন।
জানা গিয়েছে, করোনা আবহের মধ্যে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে গ্রাম এলাকার বেশকিছু স্কুল বাড়ির দরজা জানলা ভেঙে গিয়েছে, আবার কোনটার দেওয়ালের অবস্থাও শোচনীয়। তাই স্কুল চলাকালীন যাতে কোন সমস্যা না হয়, যেজন্য সেই সকল স্কুল বাড়িগুলোকে মেরামত করতে হবে।
পাশাপাশি করোনা আবহের মধ্যে প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ থাকা স্কুল আবারও খোলার জন্য গোটা স্কুল চত্বর স্যানেটাইজ করতে হবে। ২৯ শে অক্টোবরের মধ্যে স্কুলগুলোতে স্যানেটাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সেইসঙ্গে কোন স্কুলে কতজন শিক্ষক শিক্ষকা রয়েছেন এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের আধারের তথ্য জমা দেওয়া দিতে হবে আগামী ২৬ শে অক্টোবরের মধ্যে।
সূত্রের খবর, ক্ষতিগ্রস্থ স্কুল বাড়িগুলোকে মেরামত করার জন্য, আবার টাকাও বরাদ্দ করে দিয়েছে বিকাশ ভবন। যেখানে দেখা গিয়েছে, কোন স্কুল পেয়েছে ১ লক্ষ টাকারও বেশি, আবার কোন স্কুল পেয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এইভাবে প্রায় ৬৪৬৮ টি স্কুল টাকা পাচ্ছে বলে খবর।
আবার গত মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের (NIDM) রিপোর্ট থেকে জানা যায়, অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। বেশি আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা শিশুদের। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে হয়ত স্কুলগুলো ঠিকঠাক করে দ্রুতই পঠনপাঠন ব্যবস্থা চালু করা হবে।