বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে বাংলায় (West bengal) বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। কিছু স্পেশাল ট্রেন চললেও প্যাসেঞ্জার লোকাল ট্রেন এখনও অবধি চালু হয়নি বাংলায়। লকডাউন পরব পার করে আনলক টাইম পেরিয়ে এখন নিউ নর্মালে মানুষজন আর মানতে চাইছেন না। রেল কর্তৃপক্ষের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার নাহলে ট্রেন চালানোর দাবীতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকছে।
অবশেষে সোমবার নবান্নে রাজ্য সরকার এবং রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে ঠিক হয় প্রথম পর্বে লোকাল ট্রেনের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ট্রেন চালানো হবে। যাত্রী ওঠার বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব দিয়েছে, নির্ধারিত আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী উঠতে পারবেন। অর্থাৎ, সকাল সন্ধ্যা মিলিয়ে মোট ২১০টি লোকাল ট্রেন চলতে পারে শিয়ালদা ও হাওড়া শাখায়।
সূত্র মারফত জানা গেছে, লোকাল ট্রেন চালানো হলে অধিকাংশই নাকি থাকবে গ্যালোপিং। তবে এখানে একটা প্রশ্ন এসেই যাচ্ছে, গ্যালোপিং ট্রেনে চেপে এক স্টেশনের যাত্রী যে অন্য স্টেশনে ভিড় করবেন না, তার কি গ্যারান্টি থাকছে?
ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা বহু স্টেশনে দেখেছি স্টাফ স্পেশাল যে ট্রেন চালাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ, সেই ট্রেনে রীতিমত ঠেলাঠেলি করে লোকজন উঠছেন। তাহলে যখন থেকে লোকাল ট্রেন চালু করা হবে, তখন সেখানে সামাজিক দূরত্ব বিধি কিভাবে রক্ষিত হবে? আবার ট্রেন চালু হওয়ার প্রথম স্টেশনেই যদি সিট ভর্তি হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী স্টেশনে অপেক্ষাকৃত যাত্রীরা কিভাবে বাড়ি ফিরবেন?
এবিষয়ে রেলবোর্ডের প্রাক্তন সদস্য সমর ঝা জানিয়েছেন, ট্রেনে কামরা পিছু একটি করে দরজা খোলা রেখে এবং সেখানে পিপিই পরিহিত একজন আরপিএফ স্টাফকে যাত্রী ওঠা নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব দিয়ে ভিড় কমানো যেতে পারে।
পূর্বের নর্মাল সময়ে শিয়ালদহের সব শাখা মিলিয়ে ২০৩ টি স্টেশনে মোট যাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৫ লক্ষ। তবে আরপিএফ পোস্ট রয়েছে ২০টি, জিআরপি থানা রয়েছে ১৪টি। অপরদিকে হাওড়া শাখায় লোকাল ট্রেনের স্টেশনের সংখ্যা ১৯৩টি। সেখানে আরপিএফ পোস্ট রয়েছে ২১ টি এবং জিআরপি থানা রয়েছে ১৩টি। তবে সব কিছু মিলিয়ে কিভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হলেও, ট্রেনের সময় এখনও নির্ধারোন করা হয়নি। কোন সময়ে কোন ট্রেন চলবে, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার আবারও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।