বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে কোচবিহার (Cooch Behar) থেকে। জানা গিয়েছে, সেখানে ছেলের হাতেই খুন হয়ে গিয়েছেন বাবা। এদিকে, এই ঘটনা সামনে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায় সমগ্ৰ এলাকায়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বিধানসভার মাথাভাঙা (Mathabhanga) থানা এলাকায়।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মাস নয়েক আগে মালদার বাসিন্দা সুজাতা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় মিঠুন শীল নামের এক যুবকের। এদিকে, সুজাতার এর আগেও বিয়ে হয়েছিল এবং তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই চরম অশান্তি শুরু হয়ে যায় সংসারে। শুধু তাই নয়, সুজাতার সঙ্গে মিঠুনের বাবা কাজল শীলের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলেও প্রতিবেশীদের জানিয়েছিলেন মিঠুন।
যার জেরে প্রায়শই চলত অশান্তি। পাশাপাশি, মারধর করা হত সুজাতাকেও। এদিকে এই পারিবারিক অশান্তি মেটাতে গত শনিবার রাতে একটি সালিশি সভাও হয়। এমতাবস্থায়, শনিবার রাতেই কাজলের মৃতদেহ উদ্ধার হতে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে, মিঠুনই যে শ্বশুরকে খুন করেছে তা পুলিশি জেরার মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন সুজাতা।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুজাতা জানান, “ভোররাতে হঠাৎ আমার স্বামী আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছিল। তখনই দেখি যে সে শ্বশুরকে খুন করেছে। কিন্তু কখন খুন করেছে বা কি দিয়ে খুন করেছে সেটা জানি না। শ্বশুরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আছে বলে সে সন্দেহ করত। আমার আগের বিয়ে নিয়েও আমাকে প্রশ্ন করত আর মারধরও করত।”
পাশাপাশি, স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “প্রায়শই নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকত। সুজাতাকে মিঠুন মারধরও করত অনেকবার। এমতাবস্থায়, শনিবার সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, মিঠুন যে নিজের বাবাকেই খুন করে ফেলবে সেটা ভাবতেও পারছি না।” এদিকে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মিঠুন শীল ও তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলকে এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, মৃত কাজল শীলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।