বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বুধবার মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Pariksha) ফলাফল প্রকাশ হতেই বিভিন্ন দিক থেকে উঠে এসেছে নানা প্রতিভাধর ছাত্র ছাত্রীদের নাম। এই প্রতিভাধর শিক্ষার্থীদের তালিকায় যেমন সমাজের উচ্চ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের নাম রয়েছে, তেমনই রয়েছে অনেক দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের নামও।
উলুবেড়িয়া (Uluberia) হীরাগঞ্জের দরিদ্র পরিবারের ছেলে কিশোর সেখ সঈদুল আলম (Saidul Alam)। অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়ে তিন সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য এক স্কুলে সাফাই কর্মী হিসাবে নিযুক্ত হন মাসুরা বিবি। সেই স্কুলেই মায়ের সঙ্গে যেত ছোট্ট সঈদুল। পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ দেখে স্কুলের শিক্ষকরা তাঁকে স্কুলে ভর্তি নিয়ে নেয়।
মাত্র ৮০০ টাকা মাইনেতে কোনরকমে সংসার চলত তাঁদের। সঈদুলের বড় দাদা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী ছিল। অনেক কষ্টে সন্তানদের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দিত সঈদুলের মা। এই অর্থাভাবের মধ্যে খাবার না জুটলেও, কোনদিন পড়াশুনা থেমে থাকেনি সঈদুলের। টিউশন বা কোচিং-এ কোনদিন না গেলেও, স্কুলের পর শিক্ষকদের সহায়তায়ই পড়াশুনা চলত সঈদুলের।
এই কুঁড়ে ঘরের মেধাবি ছেলেটিই আজ মাধ্যমিকে ৫৯৯ পেয়ে গ্রাম এবং স্কুলের গর্বে পরিণত হয়েছে। চরম প্রতিবন্ধকতার মাঝে দাঁড়িয়েও নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে সে। আজ সে তাঁর মা যে স্কুলে সাফাই কর্মীর কাজ করতে, সেই স্কুলেই প্রথম হয়ে মায়ের সম্মান আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই আনন্দের মাঝেও আরও এক চিন্তা ভর করেছে তাঁদের উপর। এবার বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চশিক্ষায় এগোতে চায় সঈদুল। কিন্তু অর্থের অভাবে তা আবার বন্ধ হয়ে যাবে না তো? সঈদুলে মা মাসুরা বিবি তাই সকলের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।