বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহেও দাম বেড়েছিল মদের। কিন্তু দাম বাড়িয়েই ঝামেলায় পড়েছে রাজ্য সরকার (State Government)। কমেছে মদের বিক্রি। যার ফলে রাজ্যের কোষাগারে আবগারি দফতরের অবদান কমেছে। যা নিয়ে চিন্তায় দফতরের কর্তারা।
লকডাউনের জেরে প্রায় ২ মাস মদের দোকান বন্ধ থাকায় দেশ জুড়ে মদের হাহাকার শুরু হয়েছিল। অনেক জায়গায় গোপনে মদ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ৪ মে মদের দোকান খোলার পর ১ দিনেই ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল সরকার। কিন্তু তার পর ক্রমশ ভাটা পড়েছে মদের চাহিদায়।
আবগারি দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন লকডাউনের আগে মাসে মদ বিক্রি থেকে সরকারের ৯৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হত। সেখানে এখন আসছে মাত্র ৩৫০ কোটি।
দফতরের আধিকারিকরা মদের বিক্রি কমার পিছনে একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। আর বিলাতি মদের সঙ্গে দেশি মদের চাহিদা কমার পিছনে মানুষের রোজগার না থাকাকে দায়ী করেছেন তাঁরা।
এক আবগারি কর্তার কথায়, উপার্জন না থাকায় মানুষ মদ কিনছেন না। লকডাউনের জেরে দিন আনি দিন খাই মানুষের উপার্জনে ব্যাপক টান পড়েছে। ফলে মদের মুখ দেখছেন না তাঁরা।
তাছাড়া বিলাতি মদের সঙ্গে ৩০ শতাংশ করে দাম বেড়েছে দেশি মদেরও। ফলে দেশি মদের কিছু ক্রেতা বেআইনি চোলাইয়ের দিকে ঝুঁকতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।
আবগারি দফতরের আরেক আধিকারিক জানিয়েছেন, মদের দোকান খুললেও এখনো পানশালা খোলার অনুমতি দেয়নি সরকার। ফলে মদের বিক্রি পুরনো জায়গায় ফিরতে পারেনি।