প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা IIT ও IIM পড়ুয়াদের ক্লাসরুম হয়ে ওঠে বিহারের এই স্টেশন, যা বহু সাফল্যের সাক্ষী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেই পড়শি রাজ্য বিহারের (Bihar) পড়ুয়ারা অত্যন্ত ভালো রেজাল্ট করেন। বছরের পর বছর ধরে এই ছবিই আমরা দেখে আসছি। মূলত কঠোর পরিশ্রম এবং ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই তাঁরা হাসিল করে নেন সাফল্য। পাশাপাশি তাঁদের পড়াশোনার পদ্ধতিটাও হয় ভিন্ন ধরণের। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা বিহারের এমন একটি স্টেশনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যেখানে প্রতিদিন পড়ুয়ারা উপস্থিত হয়ে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করেন।

হ্যাঁ, শুনে অবাক হলেও এই ঘটনা কিন্তু সম্পূর্ণ সত্যি। এমনকি বছরের পর বছর ধরে এই রেশ চলে আসছে সেখানে। জানা গিয়েছে, বিহারের সাসারাম রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পড়ুয়ারা উপস্থিত হয়ে তাঁদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। মূলত, ১ এবং ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় ২ ঘন্টা ধরে এই প্রস্তুতিপর্ব চলতে থাকে।

সেখানে মূলত, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি আইআইটি এবং আইআইএম-এর মত প্রতিষ্ঠানে প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নেন শিক্ষার্থীরা। জানা গিয়েছে যে, এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিহারের রোহতাস জেলা থেকে এসেছেন। সেখানকার গ্রামে এখনও ঠিকভাবে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায়, রেলস্টেশনে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকায় শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসেন।

মূলত, স্টেশনে এই পড়াশোনার প্রচলন ২০০২ সালে শুরু হয়েছিল। তখন মাত্র কিছু সংখ্যক পড়ুয়া স্টেশনে পড়াশোনা করতে আসতেন। আর আজ সাসারাম স্টেশন কার্যত একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অনেকেই এই স্টেশন থেকে জীবনের লক্ষ্যপূরণ করতে সমর্থ হয়েছেন। পাশাপাশি, তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতেও তাঁরা সাহায্য করেন।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সাসারাম রেলওয়ে স্টেশনও পড়ুয়াদের সর্বোতভাবে সাহায্য করেছে এবং ৫০০ জনেরও বেশি ছাত্রকে আইডি কার্ড প্রদানের মাধ্যমে এই স্টেশনে পড়াশোনা করার অনুমতি দিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর