অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, প্রতি ৩০ বছর অন্তর ডিম দেয় এই পাথর! নিমিষেই হয়ে যায় চুরি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পৃথিবীতে এমন অনেক অনন্য প্রাকৃতিক জিনিস রয়েছে যেগুলির উত্তর বা কারণ কেউই জানেন না। এমনকি, এগুলি সম্পর্কে অবহিত নন অধিকাংশ মানুষই। যদিও, প্রকৃতির সৃষ্টি এইরূপ বিরল ঘটনা চমকে দেয় সকলকেই। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরাও বহু বছর ধরে এগুলির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনো সাফল্য পাওয়া যায়নি।

যে কারণে এগুলি যুগের পর যুগ ধরে ঢাকা রয়েছে রহস্যের চাদরে। বর্তমান প্রতিবেদনেও আমরা ঠিক এইরকমই এক রহস্যময় বিষয়ের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। জানা গিয়েছে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ চিনের গিঝো প্রদেশে এমন একটি শিলা রয়েছে যেটি প্রতি ৩০ বছর অন্তর ডিম পাড়তে পারে। হ্যাঁ, প্রথমে শুনতে অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি।

মূলত, আজ অবধি আমরা মুরগি ও হাঁসের ডিম পাড়ার কথা শুনে থাকলেও কখনও কোনো পাথর বা শিলার ডিম পাড়ার কথা শুনিনি। কারণ, এটা রীতিমতো অসম্ভব। কিন্তু চিনের এই বিশেষ শিলা ডিম পাড়তে সক্ষম। তাও প্রতি ৩০ বছরে একবার করে ডিম পাড়ে এটি। জানা গিয়েছে, প্রতি ৩০ বছর অন্তর ডিমগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি থেকে আলাদা হয়ে যায়। মূলত, এই বিরাট পাথরটির উচ্চতা প্রায় ১৯ ফুট এবং এটি ৬৫ ফুট লম্বা।

কালো রঙের ডিম:
চিনের এই রহস্যময় শিলাটি চ্যান ড্যান ইয়া নামে পরিচিত। এই পুরো পাথরটি হল কালো রঙের। পাশাপাশি, এই শিলা যে ডিম পাড়ে সেগুলিও কালো রঙেরই হয়। মূলত, ডিম্বাকৃতির এই পাথরগুলি বাইরে থেকে অত্যন্ত মসৃণ হয় এবং নিজেরাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর পাথরের পৃষ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরাও এই পুরো প্রক্রিয়াটি বোঝার চেষ্টা করছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ সফলতা পাননি।

WhatsApp Image 2022 06 17 at 7.11.54 PM

এগুলিকে নিয়ে পালিয়ে যান বাসিন্দারা:
মূলত, এই পাথরটির “চ্যান ড্যান ইয়া” নামের অর্থ হল ডিম পাড়তে সক্ষম পাথর। এদিকে, ওই শিলা থেকে বেরিয়ে আসা ডিম্বাকৃতি পাথরগুলিকে মানুষ সুখের প্রতীক হিসেবে মনে করেন। আর এই কারণে ডিমগুলো মাটিতে পড়লেই সেগুলোকে নিয়ে পালিয়ে যান সবাই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এই শিলাটির বয়স প্রায় পাঁচশ মিলিয়ন বছর। এত বছর ধরে এই শিলা সব ধরনের তাপমাত্রা সহ্য করে দাঁড়িয়ে আছে। পাশাপাশি, একইভাবে সে ডিমও পেড়ে আসছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর