বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত অবাক করা বিষয় সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হারদোইয়ের (Hardoi) কছোনার একজন ই-রিকশা চালকের দু’মাসের টার্নওভারের পরিমাণ হল ৬ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। হ্যাঁ, বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে। তবে, এখনেই লুকিয়ে রয়েছে আরও একটি অবাক করা ঘটনা।
মূলত, ওই ই-রিকশা চালক তাঁর ই-রিকশায় খারাপ হয়ে যাওয়া ব্যাটারি প্রতিস্থাপনের জন্য ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত চিন্তিত ছিলেন। এমতাবস্থায়, ব্যাঙ্কে ঋণের জন্য আবেদন করার আগে পর্যন্ত তিনি নিজেও জানতেন না যে তাঁর ২ মাসের টার্নওভার ৬ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা! তারপরে জানা যায় তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা এই চমকপ্রদ প্রতারণার বিষয়ে আপনাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করব।
অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কছোনার কোতোয়ালি তিলক নগরের বাসিন্দা অমন কুমার রাঠোরের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, অমন কছোনা শহরে তাঁর ই-রিকশাটি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। যদিও, কয়েকদিন ধরে তাঁর ই-রিকশার ব্যাটারি খারাপ হকয়ে যাওয়ায় সেটি বদলানোর জন্য তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি এজন্য তিনি ব্যাঙ্কে গিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গেও কথা বলেন।
এদিকে, ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁর কাছে আইটিআর চেয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, তিনি ৫০ হাজার টাকার ঋণের জন্য আইটিআর ফাইল করতে জন সেবা কেন্দ্রে যান। এদিকে, ওই জন সেবা কেন্দ্রের অপারেটর যখন আইটিআর ফাইলের জন্য আবেদন করেন, তখন তাঁর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। কারণ অমন কুমার রাঠোরের নামে প্রায় ৬ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার টার্ন ওভারের বিষয়টি সেখানে দেখা গিয়েছিল।
এদিকে, আরও জানা গিয়েছে যে দিল্লির একটি ফার্মের রেজিস্ট্রেশন অমন কুমার রাঠোরের নামে হয়ে রয়েছে এবং তাঁর আধার ও প্যান কার্ডও ওই সংস্থার নামে রেজিস্টার্ড হয়ে রয়েছে। মূলত, ওই ফার্মটির নাম হল রাঠোর ট্রেডার্স। যেটি তামার তার এবং স্ক্র্যাপের ব্যবসা করে। এমতাবস্থায়, অমন কুমার রাঠোর যখন বিষয়টি জানতে পারেন, তখন তিনি স্বাভাবিকভাবেই হতবাক হয়ে যান।
উল্লেখ্য যে, অমন কুমার রাঠোর যখন কর্মহীন ছিলেন তখন তিনি তাঁর শহরে বসবাসকারী সন্দীপ কুমার নামের এক যুবকের সাথে দেখা করেছিলেন। সন্দীপ অমনকে চাকরি দেওয়ার জন্য অমনের আধার ও প্যান কার্ড নিয়েছিলেন। যদিও, প্রায় ১ বছর কেটে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি, অমনও এই বিষয়টি ভুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে তাঁর নামে এত বড় ব্যবসা দেখে আঁতকে উঠেছেন তিনি। পাশাপাশি, অমন জানিয়েছেন, তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করাবেন।