সেনাবাহিনী থেকে এবার মুছে যাবে দাসত্বের চিহ্ন! বদলে যাবে ইউনিফর্ম, নাম পাল্টাবে রেজিমেন্টেরও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নৌবাহিনীর নতুন পতাকার উদ্বোধন করেছেন। যেখান থেকে ব্রিটিশ শাসনের প্রতীক হিসেবে থাকা রেড ক্রসকে এবার সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এমতাবস্থায়, সেনাবাহিনী থেকে এবার ব্রিটিশ শাসনের সাথে যুক্ত থাকা সমস্ত প্রথার অবসান ঘটানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী সময়ে, সৈনিকদের ইউনিফর্ম এবং অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রেজিমেন্ট ও ভবনের নামেও পরিবর্তন করা হতে পারে। এদিকে, আগামী বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল বর্তমানে প্রচলিত রীতিনীতি, পুরোনো প্রথা ও নীতিগুলির পর্যালোচনা করবেন বলেও জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে একটি এজেন্ডা নোট সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। যেটি দেখে একাধিক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও, সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এজেন্ডা নোট সামনে আসা মানেই যে সেখানে স্থিত সমস্ত কিছু বাস্তবায়িত করা হবে এমনটা কিন্তু নয়। মূলত, কোনো পরিবর্তন বাস্তবায়িত হওয়ার আগে বিস্তারিত আলোচনা সম্পন্ন হবে।

এদিকে, পর্যালোচনা সভার এজেন্ডা নোটে জানানো হয়েছে যে, এবার পুরোনো ও অকার্যকর প্রথাগুলিকে অপসারণের সময় এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ও সরঞ্জামেও পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া, রেজিমেন্টের নামগুলিও বিবেচনা করা হবে। জানিয়ে রাখি যে শিখ, গোর্খা, জাঠ, পাঞ্জাব, ডোগরা, রাজপুত এবং আসামের মতো পদাতিক রেজিমেন্টগুলির নাম ব্রিটিশরা রেখেছিল।

এছাড়া, গত বছর যৌথ কমান্ডারদের একটি সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সশস্ত্র বাহিনীতে নীতি, পদ্ধতি এবং রীতিনীতির স্বদেশীকরণের উপর জোর দিয়েছিলেন। পাশাপাশি, তিনি তিনটি সেনাবাহিনীকেই পুরোনো ও অকার্যকর সিস্টেমগুলি থেকে পরিত্রাণের পরামর্শ দেন।

Indian Army Recruitment 2021 4

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের দেশে আজও একাধিক ভবন, রাস্তা এবং পার্কের নাম ব্রিটিশ কমান্ডারদের নামে রাখা হয়েছে। স্যার ক্লদ অচিনলেক এবং হারবার্ট কিচেনারও সেই তালিকায় রয়েছেন। এমতাবস্থায়, ভবিষ্যতে এই নামগুলিরও পরিবর্তন করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর