বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বার বার শান্তির বার্তা দিয়ে এসেছে ভারত। দুই দেশকেই যুদ্ধ থামিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এমনকী, রাষ্ট্র সঙ্ঘেও এ বিষয়ে ভোটদানের থেকে বিরত থেকেছে ভারত। ভারতের এই অবস্থানকে আবারও স্বাগত জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর বার্তাকে সমর্থন জানাই। রাশিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জড়িত থাকার ফলে অন্যান্য দেশ নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে। যুদ্ধের প্রভাব কমাতে আমরা বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখব।”
![Modi Biden Modi and Biden](https://banglahunt.com/wp-content/uploads/2022/12/Modi-Biden-1350x900.jpg)
তিনি আরও বলেন, “কোনও দেশ এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আগ্রহী হলে তারা যেন তা করে। ইউক্রেনীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব রেখে যেন এ কাজ করা হয়।” সেপ্টেম্বরে সমরকন্দে এসসিও সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধ থামানোর বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “এই সময় যুদ্ধের জন্য নয়।” পাশাপাশি তিনি খাদ্য, জ্বালানি সুরক্ষা এবং জৈব সারের সমস্যার সমাধানের উপায় খোঁজার উপরেও জোর দেন।
শুক্রবার ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর কিছুক্ষণ পরেই আমেরিকার তরফে এই বার্তা সামনে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, সমরকন্দের বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্রনেতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করেছেন। এর মধ্যে একটি দিক হল জ্বালানি সহযোগিতা।এছাড়াও বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে দু’দেশের প্রধান নেতার মধ্যে।
![Modi Putin modi putin](https://banglahunt.com/wp-content/uploads/2022/12/Modi-Putin.jpg)
রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে শান্তির বার্তাই দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেছেন, কূটনীতির মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা উচিত। তাই যুদ্ধ থামিয়ে দু’দেশকেই আলোচনায় বসার কথা বার বার মনে করিয়েছেন তিনি। এছাড়াও এদিনের টেলিফোনের আলোচনায় জি-২০ সম্মেলনে ভারতের বর্তমান সভাপতিত্ব সম্পর্কে পুতিনকে অবহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই সম্মেলনের মূল বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের ভারতের চেয়ারম্যান থাকাকালীন দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে উভয় নেতাই একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথায় সম্মত হন।