বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ভারত (India) সফর নিয়ে সংশয়ে ছিল চীন (Chaina) এবং পাকিস্তান (Pakistan)। ট্রাম্পের এই ভারতে আসায় চীন এবং পাকিস্তানের কড়া নজর ছিল তাঁর উপর। নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং ট্রাম্পের বন্ধুত্বের উপর সব থেকে বেশি নজর ছিল চীনের।
চীন সরকার ‘গ্লোবাল টাইমস’ (Global Times) সংবাদপত্রে তাঁর এই চিন্তার কথা উল্লেখ করেছিলেন। এই সংবাদপত্রে লেখা ছিল, আমেরিকা (America) নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য বদ্ধ পরিকর। আর সেইজন্য তাঁরা চীনের প্রতিবেশি দেশকে তাঁদের বিরুদ্ধে করে দিতেও পিছুপা হবেন না। ভারত চীনের সম্পর্ককে খারাপ করার জন্য দিল্লী (Delhi) এবং ওয়াশিংটনের (Washington) মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করে তুলছে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লীর সম্পর্কের মূল লক্ষ্য হল চীনকে বিপদে ফেলা। সেই কারণে ২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমেরিকায় স্বাগত জানিয়েছিল।
ট্রাম্পের ভারত সফরের মূল উদ্দ্যেশ্য শুধু হাতিয়ার বিক্রয় করে টাকা কামানো নয়। তাঁর উদ্দ্যেশ্য আমেরিকার হিন্দ প্রশান্ত রণনীতির অংশ হিসাবে নিজেদের মধ্যে আভ্যন্তরীণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে। এই দুই দেশের জোরালো সম্পর্কের মাধ্যমে তাঁরা চীনকে আটকাতে চাইছে।
অপরদিকে পাকিস্থানও নমস্তে ট্রাম্প অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেয়। তাঁদের দাবী ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে জোরালো সম্পর্কস্থাপনের কথা বলেছে। কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রপতি বলেন, যে গোটা দেশ জানে যে পাকিস্তানে এখন কি হচ্ছে। তিনি পাকিস্তানের রেডিকাল ইসলামের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। আর এই বিষয়ে পাকিস্তান ভাবছে তাঁদের বিষয়ে ভালো মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।