বাংলহান্ট ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বহুবার চীনকে দোষারোপ করেছেন। দেশবাসীর সমর্থনে চীনকে কয়েকবার হুঁশিয়ারী বার্তাও দিয়েছেন ট্রাম্প। ভবিষ্যতে আমেরিকা চীনের বিরুদ্ধে অনেক কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারে, এমনটাও জানিয়েছিলেন তিনি।
আমেরিকায় করোনা তাণ্ডব
করোনা ভাইরাসের জেরে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে আমেরিকা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষেরও বেশি এবং মৃতের সংখ্যা ৮৬ হাজারেরও অধিক। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, চীনের মার্কিন পেনশন তহবিলে আর কোন অর্থ দেওয়া হবে না। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি নিয়মেরও পরিবর্তন করা হবে।
চীনকে দেওয়া অর্থ ফিরিয়ে নিচ্ছে আমেরিকা
গত বৃহস্পতিবার ফক্স বিজনেস নিউজের মোতাবেক, ট্রাম সরকারকে এই অর্থ বিনিয়োগ বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তিনি সরাসরি উত্তর দেন। ট্রাম্প জানান, ‘হ্যাঁ আমি এই আরব ডলার আরব… ফিরিয়ে নিয়েছি’।
চীনা সংস্থাগুলিকে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নাসডাকের তালিকাভুক্ত করার জন্য সমস্ত শর্ত মান্য করতে বাধ্য করা হবে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপতি উত্তর দেন, চীনা সংস্থা নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বর্তমানে তালিকাভুক্ত রয়েছে। তবে তারা কোন আমেরিকান সংস্থার মতো তাঁদের কাজের হিসাব দেয় না।
প্রতিটি মানুষই টপ হতে চায়
জবাবে ট্রাম্প জানান, – “আমরা খুব ভাবনা চিন্তা করে এই বিষয়টি ভেবে দেখছি। এটি বেশ আশ্চর্যজনক হলেও বর্তমানে এখানে একটি সমস্যা হচ্ছে। মনে করুণ এমরা এই কজা করি? আপনি কি এর অর্থ বুঝতে পারলেন?
ট্রাম্প আরও জানান, – “মনে করুণ আপনি শক্ত হতে চান। আপনি একথাও জানেন যে প্রত্যেকে ব্যক্তিই টপ হতে চায়।তপামিও একজন সফল ব্যক্তি। কিন্তু তারা বলছে, ঠিক আছে, আমরা লন্ডনে নাহলে হংকং যাব।
চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমেরিকা গর্জে উঠছে
করোনা ভাইরাসের জন্য প্রথম থেকেই চীনকে দায়ী করে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেশবাসীর সমর্থন নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে এক জোরালো প্রতিবাদি সুর তুলেছেন তিনি। এমনকি ১৪ টি রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলও সমর্থন করেছে ট্রাম্পকে।
এই ভাইরাসের সংকটকালীন প্রেক্ষাপটে চীনের সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।