বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রদায়িকতার নজির সৃষ্টি করল শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী মন্দির (Vaishno Devi Shrine)। লকডাউনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণের ভয়ে কাতরার (Katra) আশিরবাদ ভবনে কোয়ারেন্টিন থাকা প্রায় ৫০০ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য রমজান মাসের উপলক্ষ্যে সেহরি এবং ইফতার প্রস্তুত করল।
মন্দিরে কোয়ারেন্টিন থাকেন প্রচুর মানুষজন
বিশ্বজুড়ে মহামারি সৃষ্টি হওয়ার কারণে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মার্চ মাসের শুরুর থেকেই কাতরার আশির্বাদ ভবনকে কোয়ারেন্টিন হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল। লকডাউনের মধ্যে কোয়ারেন্টিনে আটকা পড়েন অনেক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। ক্রমশই রমজান মাস এগিয়ে আসায় তারা সমস্যার মধ্যে পরে। কিন্তু তাঁদের সকল সমস্যার সমাধান করে মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করে ফেলে।
কোয়ারেন্টিন রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন মুসলিম
মন্দির কিমিটির চিফ এস্কিকিউটিভ অফিসার রমেশ কুমার এপ্রসঙ্গে জানান, ‘শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে কোয়ারেন্টিনে থাকা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্যে রমজান মাস উপলক্ষ্যে মন্দির কমটির পক্ষ থেকে সকাল সন্ধ্যে ইফতার এবং সেহরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের এখনে কোয়ারেন্টিন রয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। রমজান মাস উপলক্ষ্যে জম্মু-কাশ্মীরের সরকার বাসিন্দাদের ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে ফিরিয়ে আনা নাগরিকদের জন্য মার্চ মাসেই মন্দিরের আশির্বাদ ভবনকে কোয়ারেন্টিনের উপযোগী করে তোলা হয়’।
ব্যবস্থা করা হয় ইফতার এবং সেহরির
বেশিরভাগ জায়গা থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। উধামপুর থেকে কাতরা প্রায় ৪০ কিমি দূরে অবস্থিত। সেই কারণে তারা এই রমজান মাসে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা শ্রমিকদের তাই রমজান মাসের উপলক্ষ্যে ইফতার এবং সেহরির ব্যবস্থা করা হয় বলে জানালেন রমেশ বাবু।
দিচ্ছে তিন বেলার খাবারও
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাঁদের জন্য প্রতিদিন সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবার সরবরাহ করা হয় বলেও জানালেন মন্দির কিমিটির চিফ এস্কিকিউটিভ অফিসার রমেশ কুমার। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানগুলির পরবর্তীতে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দির হল এই শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী মন্দির। ইতিমধ্যেই এই মন্দির প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে কাতারের বিভিন্ন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এবং প্রায় ১.৫ কোটি টাকা সাহায্য করেছে করোনা ত্রাণ তহবিলে।