বাংলা হান্ট ডেস্ক: জাতীয় উপজাতি কমিশনের সদস্যরা এবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে হলেন এক অন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, তাঁদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে নিজেদের অভিযোগ জানিয়েছেন অসহায় গ্রামবাসীরা। শুধু তাই নয়, নিজেদের সহায় সম্বল ফেরত পাইয়ে দেওয়ার কাতর আবেদন জানিয়ে গ্রামবাসীরা কমিশনের সদস্যদের পা জড়িয়ে কাঁদতেও শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠিক এইরকমই ঘটনার সম্মুখীন হল ন্যাজাটের রাজবাড়ি মোড়। উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার উপজাতি কমিশনের ৩ সদস্যদের প্রতিনিধিদল সন্দেশখালি সফর সেরে বিকেলে কলকাতা ফিরছিলেন। সেই সময়ে রাজবাড়ি মোড়ের কাছে রাস্তা আটকে তাঁদের কনভয় আটকে দেন গ্রামবাসীরা। তারপরে গাড়ি থেকে কমিশনের প্রতিনিধিরা নেমে এলেই তাঁদের কাছে কাঁদতে কাঁদতে গ্রামবাসীরা পায়ে লুটিয়ে পড়েন।
পাশাপাশি, শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কথা কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরে কিভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের ভিটেমাটি লুঠ করেছে সেই বিষয়টি জানান তাঁরা। সেই সময়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর কমিশনের এক প্রতিনিধি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই পুলিশকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলব। পুলিশ নির্দেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ নেবো। এটা গণতন্ত্রে চলতে পারে না।”
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে ব্যাটবল খেললেন ক্রিকেটের ভগবান! শেষ শটে করলেন কামাল, ভাইরাল হল শচীনের ভিডিও
তারপরে গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলার পর ফের কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে পৌঁছে সেখানকার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন উপজাতি কমিশনের প্রতিনিধিরা। গ্রামবাসীরা তাঁদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কাহিনি কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে জানান।
শুধু তাই নয়, কিভাবে শাহজাহান বাহিনী রীতিমতো গায়ের জোরে জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছে তাও জানানো হয় কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে। প্রতিটি অভিযোগ খুঁটিয়ে শোনেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, সামগ্রিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে রিপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে সন্দেশখালির পরিস্থিতি তাঁরা জানাবেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে সন্দেশখালি পরিদর্শনের পর জাতীয় মহিলা কমিশন ও জাতীয় তফশিলি কমিশন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেছিল।