বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাত্র বছর তিনেক আগেই শেষ হয়েছে নির্মাণ কাজ। তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় দু কোটি টাকা। তার উপর এখনও হয়নি উদ্বোধনও। তার আগেই পণ্ডিত রবিশঙ্কর ভবনের কাজ নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। সম্প্রতি ওই বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দেওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তিন বছর আগে শেষ হয়েছে কাজ। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভবনটি হাতে তুলে দিয়েছে পূর্ত দফতর। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই ভবনের দেওয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় অবাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে এই ঘটনার কথা জানিয়ে পূর্ত দফতরকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর সদ্য নির্মিত ‘পণ্ডিত রবিশঙ্কর’ ভবন ঘুরে দেখেন দফতরের আধিকারিকরা। আর পরিদর্শনের পর তাঁরা জানিয়েছেন যে সব দোষ ইঁদুরের। ইঁদুরের উৎপাতেই ঘরে ভাঙন ধরেছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিত রবিশঙ্কর ভবনে।
ভবনের ভিতরে এবং বাইরের একাধিক অংশে ফাটলের চিত্র ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত এই ভবনটি পরিদর্শন করেন পূর্ত দফতরের প্রতিনিধি দলও। সেই দলে ছিলেন পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ধ্রুব প্রতিম ঘোষ, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ সহ অন্যান্য বিভাগীয় আধিকারিকরা।
পরিদর্শন শেষে পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জানান, বিল্ডিংটির নির্মান বছর তিনেক আগে হস্তান্তর করা হলেও এখনও পর্যন্ত ব্যবহার করেনি বিশ্ববিদ্যালয়। ভবনের নিচের অংশে অনেক সময় ইঁদুরের গর্ত তৈরি হওয়ার কারণে এ ধরনের ফাটল দেখা যায়। অতি শীঘ্রই মেরামতি করা হবে বলেও জানিয়েছেন পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার।তবে প্রায় আড়াই কোটি টাকায় তৈরি ভবনটি এত তাড়াতাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হল কী করে? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।