বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলায় এখনও পর্যন্ত সেভাবে জাঁকিয়ে শীত (Winter) পড়েনি। যদিও বাঙালি তাদের লেপ সোয়েটার বের করে শীতকে ওয়েলকাম জানাতে প্রস্তুত। আপাতত মিঠে রোদে কমলালেবু খাওয়ার দিনের অপেক্ষায় বাঙালি। এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া দফতর (Weather) কী বলছে? মিঠে রোদ নাকি মেঘলা আকাশ? কী অপেক্ষা করছে বাঙালির জন্য?
IMD সতর্কবার্তা
আসলে ইতিমধ্যেই দেশের বহু এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত করছে অকাল বৃষ্টি। আইএমডির (India Meteorological Department) তরফে প্রবল বর্ষণ (Rain) নিয়ে সতর্কবার্তাও রয়েছে। বাংলাতেও (West Bengal) কি তার প্রভাব পড়বে? সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা। কারণ ডিসেম্বরের শুরুতেই এক ঘূর্নিঝড়ের (Cyclone) সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন : ১০০-র বদলে লাগবে মাত্র এক টাকা! চারটি বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করে তাক লাগাল ভারত
কী জানাচ্ছে মৌসম ভবন?
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন এলাকার উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। সূত্রের খবর, রবিবার অর্থাৎ ২৬ নভেম্বর আরও ঘনীভূত হবে এই নিম্নচাপ। দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপটি ঘনীভূত হতে থাকবে। পরবর্তী সময়ে এটি গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্নিঝড়েও পরিনত হতে পারে।
আরও পড়ুন : ‘দেশবাসীর ক্ষমতার প্রতি…’, ভারতের তৈরি যুদ্ধবিমান ‘তেজস’ উড়িয়ে বার্তা মোদীর
ঘূর্ণিঝড় এলে নাম হবে…
গত অক্টোবরের শুরুতে হামুন এবং নভেম্বরে মিধিলির পর আরও এক ঘূর্নিঝড়ের আশঙ্কা। এবার এই ঘূর্নিঝড়টির নাম দেওয়া হবে ‘মিগজাউম’ (Cyclone Michaung)। নতুন এই ঘুর্নিঝড়টির অভিমুখ হতে পারে বাংলাদেশের দিকেও। অর্থাৎ আন্দামান নিকোবরে ঘনীভূত হওয়ার পর বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকে ঘুরে যেতে পারে ঘূর্নিঝড় ‘মিগজাউম’।
বাংলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা কতটা?
হাওয়া অফিসের খবর, পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে নিম্নচাপটি এগিয়ে যাবে। আগামী ২৭ নভেম্বর নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপটি। যার জেরে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও মৌসম ভবন জানাচ্ছে আপাতত পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের সেভাবে সম্ভাবনা নেই। বাংলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা।