বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও শত্রুপক্ষের গুলিতে প্রাণ গেল আরও এক ভারতীয় সেনার (Indian amry)। শ্রীনগরের সোপুরে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব ছিলেন রায়বেড়েলি (Raebareli) জেলার সাহসী সৈনিক শৈলেন্দ্র প্রতাপ সিং (Shailendra Pratap Singh)। দেশমাতাকে রক্ষা করতে গিয়ে অকালে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিলেন, দেশের এই বীর সন্তান।
শৈলেন্দ্র প্রতাপ সিং
২০০৮ সালে ১১০ তম সিআরপিএফ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন ডালমাউ থানা এলাকার মীরা মিরানপুর আলহোড়া গ্রামের বাসিন্দা শৈলেন্দ্র সিং। বর্তমানে তিনি শ্রীনগরের সোপোরে পোস্টিং ছিলেন। সেখানেই সন্ত্রাসী হামলায় শত্রুপক্ষের গুলিতে শহীদ হলেন সৈনিক শৈলেন্দ্র প্রতাপ সিং।
গোটা গ্রাম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শহীদের শেষবেলায়
শৈলেন্দ্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে গোটা গ্রাম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন শহীদের মরদেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন গোটা গ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। শেষবারের জন্য নিজের গ্রামের বীর সন্তানকে দেখতে ছুটে এসেছিলেন সকলেই। তাদের সকলের মুখে ধ্বনিত হল, ‘শৈলেন্দ্র সিংহ অমর রহে। যতক্ষণ আকাশে সূর্য চাঁদ থাকবে, ততক্ষণ শৈলেন্দ্র সিং-এর নাম থাকবে’।
শৈলেন্দ্র প্রতাপ সিংএর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রাম জুড়েই। গ্রামের ছোট থেকে বোড় সকলের কাছেই খুব প্রিয় ছিলেন তিনি। ছুটিতে বাড়ি ফিরে সকলের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতেন। বীর শহীদের বিদায়কালে সকলেই তাঁর সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত স্মরণ করছিলেন।
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে স্ত্রী পুত্র
শৈলেন্দ্রের মরদেহ তাঁর বাড়িতে আনার সঙ্গে সঙ্গেই কফিন বন্দী স্বামীকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তাঁর স্ত্রী। সেইসঙ্গে তাঁর ৭ বছরের ছেলেও বাবাকে এই অবস্থায় দেখে মায়ের সঙ্গে কাঁদতে শুরু করে। কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়ে পরক্ষণেই সে তাঁর বাবাকে সেলামি দেয়। সেইসঙ্গে বলে ওঠে ‘ভারত মাতা কি জয়’।