বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হংকং (Hong Kong)-এর বিষয়ে চীনের লাগাতার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এবার যোগ্য জবাব দিল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জাতীয় সুরক্ষা আইন সম্পর্কিত বৈঠকে যোগদান করতে বেজিং পৌঁছেছেন হংকং-এর নগর নেতা কেরি ল্যাম। এই সময়ের মধ্যেই আবার বরিস জনসন প্রায় ৩ মিলিয়ন হংকংবাসীর জন্য ব্রিটেনের দ্বার উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা করলেন।
হংকং-র উপর চীন প্রধান জিনপিং ক্রমশই তাঁর দাদাগিরি দেখিয়ে চলেছে। ধীরে ধীরে হংকং-র উপর কবজা করে তাঁদের সবাধিনতা খর্ব করতে চায় চীন সরকার। তাঁর এই উদ্যেশ্যে জল ঢেলে দিয়ে এক বড়ো ঘোষণা করল ব্রিটেন প্রধান।
ব্রিটেন- চীন চুক্তি
হংকং হস্তান্তর করার বিষয়ে ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন ও চীন মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, হংকং একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসাবে প্রাধান্য পাবে। নিজেদের স্বায়ত্তশাসন আগের মতোই অক্ষুণ্ণ থাকবে। এবং সর্বোপরি ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করা যাবে না। কিন্তু চীন এই বিষয়ের তোয়াক্কা না করেই শর্তের উলঙ্ঘন করে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে হস্তক্ষেপ করে চলেছে। সেই সঙ্গে হংকং-এ নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য জনগণের অধিকার খর্ব করে চলেছে।
জনসনের বক্তব্য
এই ঘটনার ভিত্তিতে হংকংয়ের একটি সংবাদ সংস্থায় জনসন জানান, যে সুরক্ষা আইন হংকংয়ে স্বাধীনতা খর্ব করবে এবং ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকংয়ের প্রত্যাহার করার বিষয়ে ব্রিটেনের সাথে চীনের চুক্তিতে থাকা শর্তসমূহ লঙ্ঘন করতে পারে।
হংকংয়ের জন্য জাতীয় সুরক্ষা আইন ঘোষণা করল চীন
শোনা গিয়েছে, চীন চলতি মাসের শুরুর দিকে হংকংয়ের জন্য জাতীয় সুরক্ষা আইন কার্যকর করার ঘোষণা করেছেন। চীন সরকাররে এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে, হংকংয় নেতা ক্যারি লাম প্রস্তাবিত আইন সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য বুধবার সকালে বেইজিং পৌঁছেছেন। বিশেষজ্ঞদের মত, চীন মে মাসের শেষের দিকে অথবা আগস্টের শেষের দিকে হংকং বিষয়ক এই আইন কার্যকর করতে পারে।