অবাক কান্ড! “মাতাল” হয়েই স্কুলে পৌঁছে বেহুঁশ শিক্ষিকা! অবস্থা বেগতিক বুঝে ডাকা হল পুলিশ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এল ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) যশপুর থেকে। জানা গিয়েছে, সেখানকার এক সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা কার্যত মত্ত অবস্থাতেই স্কুলে পৌঁছে যান। শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ বেঁহুশ অবস্থায় চেয়ারে বসে থাকেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে টিকাইতগঞ্জের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন বিইও এম জেড ইউ সিদ্দিকী।

এদিকে সেখানে পৌঁছেই তিনি দেখেন যে, পড়ুয়ারা ক্লাস রুমে বসে আছে কিন্তু সহকারী শিক্ষিকা জগপতি ভগত তাঁর চেয়ারে বেঁহুশ হয়ে পড়ে রয়েছেন। এমতাবস্থায়, ওই “মাতাল” শিক্ষিকাকে দেখে তৎক্ষণাৎ বিইও অ্যাডিশনাল এসপিকে খবর দিয়ে মহিলা পুলিশ নিয়ে আসেন। এদিকে, ছত্তিশগড়ে মত্ত অবস্থায় শিক্ষিকার ক্লাসরুমে ঢুকে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ওই বিদ্যালয়ে মোট ৫৪ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এমতাবস্থায়, ওই শিক্ষিকা সব বিষয়ের ক্লাস নিতেন। যদিও, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এদিকে, এই প্রসঙ্গে বিইও  সিদ্দিকী বলেন, “আমি রুটিন পরিদর্শনে স্কুলে গিয়েছিলাম। দেখলাম শিক্ষিকা চেয়ারে অজ্ঞান হয়ে শুয়ে আছেন। প্রথমে ভেবেছিলাম তিনি অসুস্থ। পড়ুয়াদের কাছে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিলাম। কিন্তু তাঁদের উত্তরে আমি অবাক হয়ে যাই। উনি অত্যধিক মদ্যপান করায় বেহুঁশ হয়ে পড়েন।”

এমতাবস্থায়, তিনি যশপুরের অ্যাডিশনাল এসপি প্রতিভা পান্ডেকে ডেকে পুরো বিষয়টি অবহিত করেন এবং ওই শিক্ষিকার মেডিকেল চেকআপ করানোর জন্য মহিলা পুলিশ পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। তারপরেই দু’জন মহিলা পুলিশকে স্কুলে পাঠানো হয়। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষিকাকে পুলিশ ভ্যানে করে জেলা হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরাও ওই শিক্ষিকার মদ্যপানের বিষয়টিতে সম্মতি জানান।

jashpur woman teacher

এদিকে, বিইও সিদ্দিকী আরও জানান যে, কয়েকদিন আগে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছিলেন, ওই শিক্ষিকা মদ খেয়ে স্কুলে আসেন। এমতাবস্থায়, স্কুল কমিটি তাঁকে সতর্ক করে। কিন্তু কোনো ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আরতি ভগতও তাঁকে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন। এদিকে, জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যশপুর জেলায় চলতি শিক্ষাবর্ষে মদ খেয়ে স্কুলে আসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর