একেই বলে ভাগ্য! গাড়িতে ছিল না পেট্রোল ভরার টাকা, লটারিতে ২.৮ কোটি টাকা জিতে ভাগ্য ফিরল মহিলার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রত্যেকেই বিপুল অর্থের অধিকারী হয়ে নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে চান। এমনকি, অনেকে আবার কোটিপতি হওয়ারও স্বপ্ন দেখেন। তবে, কোটিপতি হওয়া মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। কারণ, সেজন্য করতে হয় বিপুল পরিশ্রম। যদিও, কিছুজন আবার নেহাত ভাগ্যের জেরে মুহূর্তের মধ্যে কোটিপতি হয়ে যান। হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। মূলত, লটারির (Lottery) মাধ্যমে রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হয়ে যান বিজেতারা। এমনকি, ওই ঘটনা জীবনের মোড়ও ঘুরিয়ে দেয় তাঁদের।

এমতাবস্থায়, বর্তমান প্ৰতিবেদনে আজ আমরা এমন একজন মহিলার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি লটারির মাধ্যমেই উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে। মূলত, একটা সময়ে ব্রিটেনের ওই মহিলার কাছে গাড়িতে পেট্রোল ভরারও টাকা ছিল না। কিন্তু এখন তিনি লটারির সুবাদে একইসাথে ৩ লক্ষ পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রার প্রায় ২.৮ কোটি টাকা জিতেছেন।

এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য মিরর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ৫১ বছর বয়সী কেরিন পারকিন তাঁর অসুস্থতার পরে চাকরি হারিয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, সংসারের খরচ চালানোই কঠিন হয়ে পড়ে তাঁর কাছে। কিন্তু গত সপ্তাহে তিনি যখন দুধ ও রুটি কিনতে একটি দোকানে গিয়েছিলেন তখনই তাঁর ভাগ্য ঘুরে যায়। মূলত, আর্থিক সঙ্কটের আবহেই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লটারির টিকিট কেনেন তিনি। ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যায় যে, তিনি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন।

বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন: জানা গিয়েছে, কারিন বর্তমানে তাঁর মাকে কায়রো এবং মালদ্বীপে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, “কিছুদিন আগে আমি একজন নিউজ এজেন্ট ছিলাম। আমি একবার একজন মহিলাকে লটারির মাধ্যমে ৫ হাজার পাউন্ড জিততে দেখি। তারপর থেকে, আমি স্ক্র্যাচ কার্ড কেনা শুরু করি এবং এখন আমিও একজন বিজয়ী।”

WLD UK TAX Read Only resources1 16a0851cc8c large

প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেন নি: পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “আমি দু’টি ন্যাশনাল লটারির স্ক্র্যাচ কার্ড কিনে বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। তারপর রান্নাঘরে এক কাপ কফি নিয়ে বসেছিলাম। আমি প্রথম স্ক্র্যাচ কার্ডটি দেখে জানতে পারি জিতে গেছি। আমি অন্যটিকে আদৌ স্ক্র্যাচ করেছি কি না তাও মনে করতে পারছি না, কারণ পুরোটাই আমার কাছে ঝাপসা ছিল। আমার মনে আছে, আমি আমার বন্ধু টনিকে ফোন করে তাকে বিষয়টি জানতে বলেছিলাম। এরপরে আমি সত্যিটা জানতে পারি।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর