বাংলা হান্ট ডেস্ক: এলিয়েন (Alien) আছে কি নেই এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে রয়েছে দ্বন্দ্ব। এমনকি, পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা তার উত্তর খুঁজতে বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরেই চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষণা। এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক মানুষ ভিনগ্রহের মহাকাশযান দেখেছেন বলেও দাবি করেছেন। যদিও, এটাও সত্য যে আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে কেউই এলিয়েনদের (Alien) সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি।
এলিয়েন (Alien) কি সত্যিই রয়েছে:
যদিও, এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন এলিয়েনদের (Alien) অনুসন্ধানের বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে এবার নতুন মোড় আসতে পারে। মূলত, দূরবর্তী মহাকাশে এলিয়েনদের সন্ধানে শুরু করা বিশ্বের বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক প্রকল্প ব্রেকথ্রু লিসেন-এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, একাধিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন মহাবিশ্বে অনুসন্ধানের দিক পরিবর্তন করতে চলেছে।
সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা জড়ো হবেন অক্সফোর্ডে: গার্জিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞানীদের গ্রুপের বার্ষিক সম্মেলনে এসব উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করা হবে। চলতি সপ্তাহে ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে প্রথমবারের মতো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে প্রাণীবিদ পর্যন্ত কয়েকশ বিজ্ঞানী সেখানে অংশ নেবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ব্রেকথ্রু লিসেন-এর প্রকল্প বিজ্ঞানী জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্টিভ ক্রফ্ট বলেছেন যে, “এমন অনেক আশ্চর্যজনক প্রযুক্তি রয়েছে যা বিকাশের অধীনে রয়েছে। যেমন চিলি, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় বিশাল নতুন টেলিস্কোপ নির্মাণের পাশাপাশি AI-এর উন্নয়ন। এগুলি আমাদের ভিনগ্রহের সভ্যতার (Alien) সন্ধান করার উপায় পরিবর্তন করতে চলেছে।”
আরও পড়ুন: এই ছবিতেই রয়েছে একটি নারকেল! ৭ সেকেন্ডের মধ্যে খুঁজে পেলেই আপনি জিনিয়াস
এলিয়েনদের (Alien) খুঁজতে সবচেয়ে বড় ক্যামেরা প্রস্তুত করা হচ্ছে: এই নতুন যন্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে “স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে”। যেটি শত শত রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে তৈরি। যা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় নির্মিত হচ্ছে। এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি ফ্যাসিলিটি। এর পাশাপাশি চিলিতে তৈরি হচ্ছে ভেরা রুবিন অবজারভেটরি। যেটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যামেরা। এটি প্রতি তিন বা চার রাতে সমগ্র আকাশের চিত্র তুলতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার বিয়ে উপলক্ষ্যে ৩ মাসের বিনামূল্যে Jio রিচার্জ দিচ্ছেন আম্বানি? হইচই দেশজুড়ে
শুধু তাই নয়, এটি লক্ষ লক্ষ নতুন ছায়াপথ এবং তারা আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্টিভ ক্রাফ্ট আরও বলেছেন যে, এগুলির দ্বারা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পর্যবেক্ষণ শুরু করা যাবে। যা ব্রেকথ্রু লিসেনের জন্য ডেটা সরবরাহ করবে। এই বিশাল তথ্য সেটগুলি অধ্যয়নের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ব্যবহার ভিনগ্রহের সভ্যতার (Alien) অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তি দেবে।