বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহম্মদ ওয়াসি নামের এক যুবক তার স্ত্রী উমা শর্মা ওরফে আকসা ফাতিমাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে খুন করছেন। এরপর বাড়িতেই পুঁতে দেন তার লাশ। বুধবার হাফিজপুর গ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন অভিযুক্তের মা শুক্রবার বাড়িতে ফিরে আসে। পুত্রবধূকে না দেখতে পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা জানায়। এরপর পুলিশকে ঘটনা জানলে পুলিশ তাকে আটক করে।
সিও রাজেশ কুমারের মতে, অভিযুক্ত মহম্মদ ওয়াসি পুলিশকে বলেছেন যে বুধবার রাতে তার স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া হয়েছিল। রাতে স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে সে তার হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক বোর্ডের সাথে লম্বা তারের সংযোগ দিয়ে তাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে। এরপর ঘরেই গর্ত খুঁড়ে লাশ পুঁতে দেয়। এরপর ওয়াসি দুদিন ওই ঘরেই শুয়েছিলেন। অভিযুক্তের মা আশিয়া কয়েকদিন আগে তার মেয়ে ও জামাইকে দেখতে কানপুর গিয়েছিলেন।
এরপর শুক্রবার বাড়ি ফেরার পর পুত্রবধূকে দেখতে না পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। হত্যার বিষয়টি জানতে পেরে মা আশিয়া পুলিশে খবর দেন। জানা গিয়েছে, পুলিশ শুক্রবার রাতে ঘরে পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অভিযুক্তের বাড়ির কাছে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে এই ঘটনার পেছনে পারিবারিক কলহের বিষয়টি সামনে আসছে।
সূত্রের খবর, ছয় বছর আগে নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ ওয়াসিকে উমা শর্মা বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির দুই ছেলে হায়দার আলী (৫) ও আড়াই বছরের হুমায়ুন রয়েছে। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই ওয়াসি তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তার জীবন কেড়ে নিল ওয়াসি। ওয়াসির বাবা মোহাম্মদ সাফি মারা গেছেন।
অভিযুক্তের মা আশিয়া জানান, তার দুই ছেলের মধ্যে বড় রফি প্রতিবন্ধী। ছোট ওয়াসি একটি গ্রিল কারখানায় কাজ করে। ছয় বছর আগে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছিলেন মুন্নুগঞ্জের বাসিন্দা উমাকে। প্রায়ই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত।