বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে জ্বালানির লাগামছাড়া দামের (Fuel Price) কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সকলেই। পেট্রোল-ডিজেল (Petrol-Diesel) কিনতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে সবার। এমতাবস্থায়, জ্বালানির জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে শুরু করেছেন অনেকেই। এমনিতেই এখন জ্বালানির দাম থেকে মুক্তি দিতে এবং পরিবেশ দূষণ কমাতে বিকল্প জ্বালানি চালিত গাড়ি-বাইক আনতে শুরু করেছে কোম্পানিগুলি। পাশাপাশি শুরু হয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহারও।
এছাড়া CNG সহ, জৈব জ্বালানি ইথানল এবং হাইড্রোজেন ফুয়েলের ব্যবহার করার বিষয়টিও উঠে আসছে। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক যুবকের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যাঁর কর্মকাণ্ড জানলে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে প্রত্যেকের। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পেট্রোল-ডিজেল ছাড়াই রান্নার তেল দিয়ে বছরের পর বছর ধরে গাড়ি চালিয়ে নজির তৈরি করেছেন বেঙ্গালুরুর এক যুবক।
হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। এদিকে এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন ওই যুবক। কর্ণাটকের সংবাদমাধ্যম উদয়বাণীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা ৯ বছর ধরে রান্নার তেল দিয়ে অবলীলায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন ওই যুবক। তাঁর নাম অবিনাশ নারায়নস্বামী। মূলত হোস্টেলে যে রান্নার তেল ব্যবহার হয় সেগুলি সংগ্রহ করেই বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: LIC-র দুর্ধর্ষ স্কিম! এবার স্বল্প বিনিয়োগেই প্রতিমাসে পেয়ে যান ১১,০০০ টাকার পেনশন
তারপর ওই তেলকে নানান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বায়ো-ফুয়েলে রূপান্তরিত করা হয়। মোট ৬ থেকে ৭ টি ধাপে প্রক্রিয়াকরণ চলার পর ১ লিটার রান্নার তেল থেকে পাওয়া যায় ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিলিটারের বায়ো-ফুয়েল। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই তেলের খরচ পড়ে প্রতি লিটারে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এর পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে যে, এই তেলের দহনের ফলে পেট্রোল-ডিজেলের তুলনায় অনেক কম দূষণ নির্গত হয়। অর্থাৎ, এটি পরিবেশ বান্ধব।
আরও পড়ুন: এবার ট্রেনে চেপে কলকাতা থেকেই সরাসরি পৌঁছে যান সিকিমে! কবে থেকে শুরু পরিষেবা? সামনে এল বড় তথ্য
পাওয়া যায় ভালো মাইলেজ: জানা গিয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে এইভাবেই গাড়ি চালাচ্ছেন অবিনাশ। পাশাপাশি, এই তেল দিয়ে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কতটা মাইলেজ পাওয়া যায় সেই বিষয়টিও জানিয়েছেন তিনি। অবিনাশ বলেন, প্রতি লিটারে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ লিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই তিনি এই তেল ব্যবহার করে ১.২০ লক্ষ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি দাবি করেছেন যে, এই তেলের ক্ষেত্রে কোনো কিছুই নষ্ট হয় না। কারণ, বায়ো-ফুয়েল তৈরি করার সময় যে অবশিষ্ট অংশ থাকে তা দিয়ে বিভিন্ন গাড়ি সংক্রান্ত পণ্য (যেমন-ফ্লোর ক্লিনার, হ্যান্ডওয়াশ ইত্যাদি) তৈরি করা যায়।