যমজ বোনকে বিয়ে করে সবাইকে অবাক করেছিলেন যুবক! এবার এই কারণে হল জেলে যাওয়ার উপক্রম

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে আমরা বিবাহসংক্রান্ত একাধিক ঘটনার প্রসঙ্গ জানতে পারি। এমনকি, সেই সংক্রান্ত ভিডিও সামনে আসে নেটমাধ্যমেও। যেগুলিতে এমন কিছু দৃশ্য থাকে যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সবার। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার আরও একটি নজিরবিহীন ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, এবার যমজ বোনকে বিয়ে (Marriage) করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন এক যুবক। পাশাপাশি, যমজ বোন পিঙ্কি ও রিঙ্কি পেশাগতভাবে ইঞ্জিনিয়ার বলেও জানা গিয়েছে। তবে, এই ঘটনার পরেই এখন ফাঁপরে পড়েছেন বর।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের বাসিন্দা এই দুই বোন পরিবারের সম্মতিতে মালশিরাস তালুকের বাসিন্দা অতুল নামের এক যুবককে বিয়ে করে নেন। ২ নভেম্বর অকলুজ গ্রামে ঘটা করে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রিঙ্কি ও পিঙ্কি বাবা মারা যাওয়ার পরে তাঁদের মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। বর্তমানে তাঁদের মা অসুস্থ থাকাকালীন তাঁদের পরিবারকে নানা ভাবে সাহায্য করেন অতুল।

এমতাবস্থায়, ওই সময়ে ধীরে ধীরে অতুলের প্রেমে পড়ে যান ওই দুই বোনই। শুধু তাই নয়, তাঁরা দু’জনেই সিদ্ধান্ত নেন যে অতুলকে বিয়ে করে বিবাহের পরেও একসাথে থাকবেন তাঁরা। তারপরেই মায়ের অনুমতি নিয়ে অতুলের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয় রিঙ্কি ও পিঙ্কির। এদিকে, তাঁদের বিবাহের ভিডিও ইতিমধ্যেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটমাধ্যম। পাশাপাশি ভিডিওটি দেখে, এই বিয়ে আদৌ আইনি স্বীকৃতি পাবে কি না এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা।

ইতিমধ্যেই এই বিয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অকলুজের এক সমাজকর্মী গত রবিবার অভিযোগ জানাতে সোলাপুর জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধান এক সঙ্গে দু’জনকে বিয়ে করার অনুমতি দেয় না বলেও দাবি জানান তিনি। এমতাবস্থায় সোলাপুর গ্রামীণ পুলিশ সুপার শিরীষ সরদেশপাণ্ডে এই সংক্রান্ত মামলাটি রুজু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, ঘটনাটির পরিপ্রেক্ষিতে সোলাপুরের ডিএসপি বাসবরাজ শিবপুজে জানিয়েছেন, ‘‘যেহেতু বিচারগ্রাহ্য নয়, এমন ধারায় অভিযোগটি এসেছে, তাই আমরা সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলার তদন্ত করার অনুমতি চাইব।’’ এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এহেন বিবাহের জেরে অতুলের সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং মোটা অঙ্কের জরিমানা হতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর