বাংলা হান্ট ডেস্ক: রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে চেয়েছিলেন পেঁয়াজ, সেখান থেকেই শুরু গন্ডগোলের সূত্রপাত! শেষে রেস্টুরেন্টের কর্মীদের বেধড়ক মারে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল এক যুবককে। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার হাতিবাগানের কাছে এক নামী রেস্টুরেন্টে। জানা গিয়েছে যে, রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে পেঁয়াজ চাওয়াকে কেন্দ্র করেই কর্মীদের সাথে বচসা শুরু হয় দুই যুবকের।
আর তারপরেই রেস্টুরেন্টের কর্মী এবং ম্যানেজার মিলে বেধড়ক মারতে থাকেন যুবকদের। তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁর মাথাতে বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও, রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ওই যুবকরা মদ্যপ অবস্থায় রেস্টুরেন্টে ঢুকেছিলেন এবং প্লাস্টিকের বোতলে মদ নিয়ে তা খেতে শুরু করেন। সেই কাজে রেস্তোরাঁর কর্মীরা বাধা দিতে গেলেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তাঁরা।
যদিও, এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন আহত যুবকের বাড়ির লোকজন। এই প্রসঙ্গে যুবকটির বোন জেনিফার কৃতি দেশাই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে পুরো ঘটনাটির বিবরণ তুলে ধরেন। ওই পোস্ট মারফত তিনি জানিয়েছেন যে, গত ২৬ ডিসেম্বর রাত সোয়া এগারোটা নাগাদ তাঁর ভাই নন্দ দেশাই (২৩) এবং তাঁর বন্ধু নবনীত সোনি (২৩) আরও দু’জনকে নিয়ে ওই রেস্তোরাঁয় যান। সেখানে গিয়ে নন্দ প্রথমে খাওয়ার অর্ডার করেন এবং তারপরে পেঁয়াজ চান। কিন্তু, কর্মীরা সেটি দিতে অস্বীকার করলে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
ওই রেস্টুরেন্টে প্রায় ১৫ জন কর্মচারী তখন উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন জেনিফার। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন যে, ওই ঘটনার মাঝেই হঠাৎ করে এক কর্মচারী তাঁর ভাইয়ের মাথায় ছুরি এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এমনকি, তাঁর বন্ধু নবনীতকেও আক্রমণ করেন কর্মীরা। পরে দু’জনে জ্ঞান হারালে তাঁদের বাইরে বের করে দিয়ে রেস্টুরেন্টের দরজাও বন্ধ করে দেওয়া হয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাশাপাশি, তাঁর ভাই মদ্যপ থাকলে রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা কেন পুলিশ ডাকলেন না সেই বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জেনিফার। এমনকি, সিসিটিভি ফুটেজে তাঁর ভাইকে নিয়ে কোনো ফুটেজ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনায় দুই পক্ষই বুড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।