চমকাবে রাজ্যের ভাগ্য! কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হিরের খনির খোঁজ শুরু বিজ্ঞানীদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: হিরের খনি (Diamond Mine) যেকোনো অঞ্চলের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে রীতিমতো পাল্টে দিতে পারে। পাশাপাশি, হিরের খনির সন্ধান পাওয়াও একটি বিরাট ব্যাপার। তবে, এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কলকাতার (kolkata) খুব কাছেই রয়েছে আস্ত হিরের খনি। হ্যাঁ প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি।

There are diamond mines near Kolkata

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই খনির সন্ধানের জন্য ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মূলত, ঝাড়খণ্ডের একাধিক নদীতে এই হিরে খোঁজার কাজ শুরু হবে। এমনিতেই অনেক আগে থেকে ঝাড়খণ্ডের নদীগুলিতে হিরের সন্ধান পাওয়া গেছে। আর তার ওপর ভর করেই এবার সেখানকার নদীগুলিতে হিরে খোঁজার কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের খনি মন্ত্রকের অনুমোদন মিলেছে।

আরও পড়ুন: এবার সফর হবে নিশ্চিন্তে! শিয়ালদহর এই তিন রুটে মিলবে প্রথম শ্রেণির কামরা, ভাড়া জানিয়ে দিল রেল

প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাঁচি এবং পালামৌ জেলার বেশ কয়েকটি নদীর তীরে এই হিরে খোঁজার কাজ শুরু হতে পারে। ২০১৯ সালে সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছিল এই প্রকল্পের ব্লু প্রিন্ট। যেটি ঝাড়খণ্ডের নদীর মানচিত্র এবং জাহাঙ্গীরনামার মতো তথ্য সমৃদ্ধ বই ছাড়াও আরও বিশ্ববিখ্যাত কিছু বইয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি, ফরাসি ভ্রমণকারী জেভি ট্রাভানিয়ারের ভারত বিষয়ক ভ্রমণ বইয়ে প্রকাশিত মানচিত্রটিও এই কাজে ব্যবহৃত হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ১৮ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক! দুর্ভোগ এড়াতে এখনই জেনে নিন ছুটির দিন

এদিকে, এই অভিযানের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বিনোবা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ডঃ চন্দন কুমার জানিয়েছেন, তিনি রাঁচির ভূতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকদের সাথে দেখা করেছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের খনি মন্ত্রকের সিদ্ধান্তের পরেই ঝাড়খন্ডে হিরে সন্ধানের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।

There are diamond mines near Kolkata

কোথায় কোথায় চলবে সন্ধান: অধ্যাপক জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের গুমলা, সিমডেগা, লোহারডাগা, লাতেহার, রাঁচি সহ বেশ কয়েকটি জেলার নদীতে সমীক্ষা চালানো হবে। এই সন্ধান পর্বে নদীর তীরে যেসব স্থানে মাটি থেকে পোকামাকড়, পতঙ্গ ও উইপোকা পাওয়া যায় সেগুলোও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়াও ওই রাজ্যের যেখানে যেখানে খনিজ পদার্থ বিপুল পরিমাণে উত্তোলন করা হয় সেখানেও সার্ভে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অধ্যাপক বলেন, জাহাঙ্গীরনামা ছাড়াও ২০ জন বিশ্ববিখ্যাত লেখক তাঁদের বইয়ে ঝাড়খন্ডের নদীতে হিরের অস্তিত্ব সম্পর্কে লিখেছেন। সেগুলিকে প্রাধান্য দিয়েও সন্ধান চালানো হবে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর