বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলতি মাসেই তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটা একের পর এক ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি। শুধু তাই নয়, ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়েছেন গৃহহীন। এদিকে, এহেন প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব।
তবে, এবার সামনে এল আরও এক ভয়াবহ তথ্য। মূলত, ভারতেও এহেন ভূমিকম্পের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই একজন শীর্ষস্থানীয় আবহাওয়াবিদ এবং ভূতাত্ত্বিক সতর্ক করেছেন যে, ভারতীয় টেকটনিক প্লেট প্রতি বছর প্রায় ৫ সেন্টিমিটার নড়ছে। যার ফলে হিমালয়ের স্থলভাগে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে বড় ধরণের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বাড়ছে।
এই প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সংস্থা ANI-এর সাথে কথা বলার সময়ে হায়দ্রাবাদে স্থিত ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (NGRI)-এর প্রধান বিজ্ঞানী এবং সিসমোলজিস্ট ডক্টর এন পূর্ণচন্দ্র রাও জানিয়েছেন, “পৃথিবীর উপরিভাগ বিভিন্ন প্লেট নিয়ে গঠিত, যেগুলি ক্রমাগত নড়ছে। ভারতীয় টেকটনিক প্লেটও প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার নড়ছে। ফলে আগামী দিনে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেড়েছে।”
“উত্তরাখণ্ডে ১৮ টি সিসমোগ্রাফ স্টেশন রয়েছে”: পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, “আমাদের উত্তরাখণ্ডে ১৮ টি সিসমোগ্রাফ স্টেশনের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই অঞ্চলটিকে হিমাচল এবং নেপালের পশ্চিম অংশের মধ্যে সিসমিক গ্যাপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে উত্তরাখণ্ড রয়েছে।”
ধর্মশালা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ভূমিকম্প: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত সোমবার রাত ১০ টা ৩৮ মিনিটে ধর্মশালা (হিমাচল প্রদেশ) থেকে ৫৬ কিলোমিটার উত্তরে ৩.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এই তথ্য জানিয়েছে। পাশাপাশি, সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এছাড়াও, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের এনটিআর জেলার নন্দিগামা শহরেও ভূমিকম্প হয়। তবে, সেখানে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।