বাংলাহান্ট ডেস্ক : আদিবাসী সংগঠনের মিছিল। আর তার জেরেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল হাওড়া ব্রিজ। মিছিলের জেরে ব্রিজের উপরেই দাঁড়িয়ে পড়ে সারি সারি বাস। তবে এখনো জানা যায়নি এই মিছিল কতক্ষণ অব্দি চলবে। মিছিলে আসা আন্দোলনকারীদের বক্তব্য তারা এই মিছিল নিয়ে যাবেন ধর্মতলা পর্যন্ত।
এই মিছিলটি এগোবে হাওড়া সেতু থেকে ব্রেবোর্ন রোড ধরে। এরপর আন্দোলনকারীরা একটি সভা করবেন রানী রাসমণি রোডে। আজ সকাল ৯ টা থেকে হঠাৎ হাওড়া ব্রিজের যানচলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। আদিবাসী সমাজের আন্দোলনকারীরা ব্রিজের উপর পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, জোরপূর্বক তপশিলি জনজাতির তকমা পেতে চাইছেন কুড়মি-মাহাতোরা।
তারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতাও পাচ্ছেন। ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্স’ তারই বিরুদ্ধে আজ আন্দোলন করছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা তাদের ছাড়া অন্য কাউকে দেওয়া যাবে না। বন্ধ করতে হবে নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু করা।
আরোও পড়ুন : খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে বন্দে ভারতের স্লিপার কোচ! রাশিয়ার সংস্থার সাথে চুক্তি হল ভারতীয় রেলের
২০০৬ এর বন্য আইন চালু করতে হবে গোটা রাজ্যে। এই ধরনের একাধিক দাবি নিয়ে আজ তারা সভাও করবেন ধর্মতলায়। বিভিন্ন জেলা থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা জড়ো হচ্ছেন সভার জন্য। এই মিছিলের জন্য আসা লোকজনদের ভিড়েই যানজট তৈরি হচ্ছে হাওড়া ও ধর্মতলা সংলগ্ন এলাকায়।
আরোও পড়ুন : গ্রাহকদের মাথায় হাত! সারা অক্টোবরে ১৮ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, বিপদে পড়ার আগে শিগগিরই দেখুন তালিকা
অনেকেই হাওড়া স্টেশন থেকে হেঁটে পার হচ্ছেন হাওড়া ব্রিজের উপর দিয়ে। এর ফলে স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে যান চলাচল। ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। সাধারণ যাত্রী থেকে বাস কন্ডাক্টার, সবাই বলছেন এই মিছিল সম্পর্কে তারা আগে থেকে অবগত ছিলেন না। আচমকা এই মিছিলে তাদের রীতিমতো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
বহু যাত্রী অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন বাসে করে। কিন্তু মিছিলে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যে। ফলে, কম বেশী সকলেরই গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগছে। এক নিত্য যাত্রীর কথায়, “হঠাৎ করে এই রকম মিছিল দেখব ভাবিনি। আগে থেকে কোনও এলার্টস ছিল না। খুব সমস্যা হচ্ছে।”