জলঙ্গির সাহেবনগরে এন আর সি এবং সি এ এ নিয়ে ডাকা বন্ধে এলোপাথাড়ি গুলি, বোমায় প্রাণ গেল দুই গ্রামবাসীর। এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের।হাসপাতালে ভর্তি আরও কয়েকজন। তৃণমূলকে দুষছেন বাসিন্দাদের একাংশ। হামলার সঙ্গে যোগ নেই। পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
গুলি নয়, স্প্লিন্টারের আঘাতেই মৃত্যু। তার মধ্যে এলাকার পরিস্থিতি আরো খারাপ ,কোথাও জ্বলছে বাইক আবার কোথাও তালগোল পাকানো গাড়ি। গুলিবিদ্ধ দেহ। সিএএ, এনআরসি বিরোধী বনধকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সাহেবনগর। সিএএ এবং এনআরসির প্রতিবাদে জলঙ্গির সাহেবনগরে বনধ ডাকে সংখ্যালঘু একটি সংগঠন।সক্কাল সক্কাল বনধের সমর্থনে চলছিল রাস্তা অবরোধ। সকাল নটা। আচমকা বদলায় পরিস্থিতি।
মারুতি থেকে বিক্ষোভকারীদের তাক করে শুরু হয় অশান্তি। তাক করে ছোরা গুলিতে মারা গেছে দুজন ।তাদের মধ্যে একজন হিন্দু একজন মুসলিম। আনারুল বিশ্বাস ও সত্তর বছরের সালাউদ্দিন শেখ । তাদের প্রত্যেককে হাস্পাতালে নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়েছে এই কাজ করেছে তৃণমূল ব্লক ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বিবৃতি দিয়ে জানান, “মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাহেব নগরে যেভাবে প্রতিবাদকারীদের উপর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতৃত্বে বোমা-গুলি চালিয়ে প্রতিবাদকারীদের প্রাণে মেরে ফেলা হলো, তাতে আবার এটাই প্রমাণ হয় যে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের সাথে এ রাজ্যের ‘দিদি’র সরকারের কোনো ফারাক নেই ; বরং উভয় দল এবং উভয় সরকারই একই মুদ্রার দুই পিঠ মাত্র” । এই নিয়ে এখন সরগরম পরিবেশ। কিন্তু কিভাবে কি হবে তা একন বলা সম্ভব নয়। যোগীর সাথে নাকি দিদির কোনো তফাত নেই এরকম মন্তব্য করেছেন একাধিক বিরোধী নেতা।