আর পালাবার পথ নেই পার্থর, কফিনে শেষ পেরেক পুঁতল ED! হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়ে এই মুহুর্তে জেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তবে এই দোষের দোষী কি পার্থ একাই? তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং পার্থর পরিবারের সদস্যরাও আর্থিক দিক থেকে যথেষ্ট লাভবান হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। আর এই তথ্যই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সমস্ত জারিজুরি শেষ করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

ইডি এমন এক নথি হাতে পেয়েছে যা থেকে প্রমাণ হয়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শুধু মুখ চেনা সম্পর্ক নয় বরং ছিল বিরাট অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের সম্পর্কও। এই বিরাট অঙ্কের দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী, কন্যা ও জামাইও সমানভাবে জড়িত তার তথ্য প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা।সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিটি রোডের অভিজাত আবাসনের যে ফ্ল্যাট টিকে বিভিন্ন সংস্থার ঠিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে তারই একটি হলো অনন্ত টেক্স ফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড।

ওই সংস্থার তথ্যকে ইডি কর্তারা জানতে পারেন আদতে এই সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের তিন সদস্যেরই নামে। জানা যাচ্ছে, এই টেক্সটাইল সংস্থায় পনেরো শতাংশ শেয়ার ছিল তার স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে। এছাড়াও ৭৫ শতাংশ তার মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায় ও দশ শতাংশ শেয়ার ছিলো জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য নামে।

ইডির সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যখন কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর দেখানো হয় তখন বলা হয় কোম্পানিটি লোকসানের মধ্যে যাচ্ছে কিন্তু নথি বলছে এই সময় কোম্পানির কোষাগারে উদ্বৃত্ত বাড়তি প্রায় সাড়ে ২৪ লক্ষ টাকা ছিল। সেই সময়ই প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে থাকা শেয়ারের অংশ হস্তান্তর করা হয় ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের কাছে। পরবর্তীতে কালে সোহিনী ও জামাই কল্যাণময় এর নামে থাকা শেয়ার কিনে নেয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর সেই টাকায় নিয়োগ দুর্নীতি থেকেই তোলা হয়েছিল বলেই অনুমান তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এবার এই নথিকে পরবর্তীতে  চার্জ শিট দেওয়ার ক্ষেত্রে অস্ত্র হিসাবে প্রয়োগ করতে চলেছে ইডি।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর