বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে (India) গণপরিহণের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল রেলপথ (Indian Railways)। এদিকে, বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে রেলপথকে সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে এবং আরও বেশি গতিশীল করে তুলতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারের তরফে। ঠিক সেই আবহে এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) সম্প্রতি ইকোনমিক টাইমসকে জানিয়েছেন ভারতীয় রেল আগামী কয়েক বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার নতুন ট্রেন কেনার পরিকল্পনা করেছে। মূলত, ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২০২৪-এর অর্থবর্ষে ২.৪ লক্ষ কোটি টাকার ক্যাপিটাল বাজেটের ৭০ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমাদের লক্ষ্য হল বয়স হয়ে যাওয়া স্টক প্রতিস্থাপন করা। যার জন্য ৭ থেকে ৮ হাজার নতুন ট্রেন সেটের প্রয়োজন হবে। এর জন্য আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। যেটি আগামী ১৫ বছরের মধ্য পুরোনো স্টককে প্রতিস্থাপন করবে।”
মূলত, এই পদক্ষেপটি রেলের বৃহত্তর আপগ্রেডের অংশ। যা ট্র্যাকগুলিকে মুক্ত করার মাধ্যমে ট্রিপের সংখ্যা বাড়িয়ে যাত্রী ও পণ্যের জন্য আরও ট্রেন উপলব্ধ করতে পারবে। মন্ত্রী জানান, “২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির বর্তমান স্তর পূরণ করতে ভারতীয় রেলে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।” এক্ষেত্রে, ট্রেন সহ ট্র্যাক এবং নিরাপত্তাজনিত প্রযুক্তি এবং স্টেশনগুলির পরিকাঠামগত আপগ্রেড যুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার এই মুসলিম দেশে ভিসা ছাড়াই অবাধে প্রবেশ! ক্ষমতা বাড়ল ভারতীয় পাসপোর্টের
ট্র্যাকগুলি খালি করা হচ্ছে: তিনি বলেন, ১,৩৩৭ কিমির সমগ্র ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোর নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব এবং গতি শক্তি কার্গো টার্মিনালের বিকাশকে আরও ত্বরান্বিত করবে। এর পাশাপাশি, ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোরের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে এগুলি যাত্রী ও পণ্য পরিবহণকে গতিশীল করতে ট্র্যাকগুলিকে খালি করবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিপর্যয় পাকিস্তানে! অন্ধকারে ডুবল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাতিল হল ২৬ টি বিমান
জিরো ওয়েটিং লিস্ট: জানিয়ে রাখি যে, ভারতীয় রেল বর্তমানে প্রতিদিন ১০,৭৫৪ টি ট্রেন ট্রিপ চালাচ্ছে। এমতাবস্থায়, রেলের লক্ষ্য হল ওয়েটিং লিস্টের তালিকাকে শূন্যে নামিয়ে আনা। অর্থাৎ, “জিরো ওয়েটিং লিস্ট”। তাই, রেল আরও ৩,০০০ ট্রেন যোগ করার পরিকল্পনা করছে। করোনার আগের বছরগুলির তুলনায় রেল ইতিমধ্যেই ৫৬৮ টি বেশি ট্রিপ চালাচ্ছে। যার ওপর ভর করে বছরে ৭০০ কোটি যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে। এদিকে, ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ১,০০০ কোটিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, “যাত্রী বিভাগে ওয়েটিং লিস্টের সমস্যা দূর করতে ট্রিপের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা দরকার।”