বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে ভারতের ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি ক্রমাগত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেনেরিক ওষুধ থেকে শুরু করে API তথা অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টসের সেক্টরেও, বিশ্বে ভারতের দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায়, গত কয়েক বছরে, ফার্মা সেক্টরের বেশ কয়েকটি কোম্পানি শেয়ার বাজারে (Share Market) দুর্ধর্ষ রিটার্ন প্রদান করেছে। তার মধ্যে অন্যতম ৩ টি কোম্পানি হল গুজরাট থেমিস বায়োসিন, অ্যালিভাস লাইফ সায়েন্সেস এবং ব্লু জেট হেলথকেয়ার। এই কোম্পানিগুলি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
শেয়ার বাজারে (Share Market) এই কোম্পানিগুলি আকৃষ্ট করছে বিনিয়োগকারীদের:
গুজরাট থেমিস বায়োসিন লিমিটেড: এই কোম্পানিটি ভারতের প্রাচীনতম API উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। গুজরাট থেমিস ভারতে প্রথম যক্ষ্মার ওষুধ রিফাম্পিসিন উৎপাদন করে। রিফামাইসিন এস এবং রিফামাইসিন ও-এর মতো ওষুধের জন্য এই কোম্পানির প্রতি মাসে উৎপাদন ক্ষমতা হল ১৬,০০০ কেজি। কোম্পানিটি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তার উপস্থিতি সম্প্রসারণ করছে এবং ২০২৬-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে একটি নতুন API ইউনিট চালু করেছে। নতুন ওষুধ তৈরির ও দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একটি R&D সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে। গত ৫ বছরে, কোম্পানির বিক্রয় ৮৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৫১ কোটি টাকা হয়েছে। যেখানে মুনাফা ২৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এর ROCE (রিটার্ন অন ক্যাপিটাল এমপ্লয়েড) হয় ৫৩ শতাংশ। যা শিল্পের গড়ের চেয়ে ৪ গুণ বেশি। বর্তমানে BSE-তে এই কোম্পানির শেয়ারের (Share Market) দাম ৪৬৩.০৫ টাকা।

অ্যালিভাস লাইফ সায়েন্সেস লিমিটেড: দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত API এবং ওষুধের বিকাশ ও উৎপাদনে এই কোম্পানিটি শীর্ষস্থানীয়। এর গ্রাহকদের মধ্যে ৭০০ টিরও বেশি বিশ্বব্যাপী কোম্পানি রয়েছে। কোম্পানিটি গবেষণায় ক্রমাগত বিনিয়োগ বৃদ্ধি করছে। ২০২২ অর্থবর্ষে কোম্পানিটি R&D-তে ৫৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে এটি বেড়ে ৮০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এখনও পর্যন্ত ৫৬৯ টি ড্রাগ মাস্টার ফাইল (DMF) দাখিল করা হয়েছে এবং ২৬ টি নতুন ওষুধের ওপর কাজ চলছে। ২০২০ অর্থবর্ষে সংস্থার বিক্রয় ১,৫৩৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ অর্থবর্ষে ২,৩৮৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। যেখানে মুনাফা ৩১৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৪৮৬ কোটি টাকা হয়েছে। এই সংস্থার গড় ROCE হল ৪৪.৪ শতাংশ। কোম্পানিটি ২০২৮ অর্থবর্ষের মধ্যে তার উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে BSE-তে এই সংস্থার শেয়ারের (Share Market) দাম ৯০৫.৭৫ টাকা।
ব্লু জেট হেলথকেয়ার লিমিটেড: এই সংস্থার সফর শুরু হয়েছিল আর্টিফিশিয়াল সুইটনারের মাধ্যমে।
কিন্তু, এখন সংস্থাটি এক্স-রে থেকে শুরু করে এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানে ব্যবহৃত কন্ট্রাস্ট মিডিয়া ইন্টারমিডিয়েটসের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় হয়ে উঠেছে। ভারতে এই বিভাগে কোম্পানিটির ৭৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। এই সংস্থাটি বিশ্বের চারটি বৃহত্তম ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে কাজ করে। যার মেয়াদ ৪ থেকে ২৬ বছর। ৫ বছরে, এই সংস্থার বিক্রয় ৫৩৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১,০৩০ কোটি টাকা হয়েছে এবং লাভ ১৪৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩০৫ কোটি টাকা হয়েছে। এই সংস্থার গড় ROCE ৪৩ শতাংশ। যা সংস্থাটির শক্তিশালী কর্মক্ষমতাকে নির্দেশ করে। বর্তমানে BSE-তে এই সংস্থার শেয়ারের (Share Market) দাম ৬৫৬.৩০ টাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগেই বড় সিদ্ধান্ত! T20 থেকে অবসর নিলেন কেন উইলিয়ামসন
বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে (Share Market) বিনিয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত ঝুঁকির। তাই, বিনিয়োগের আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করুন।













