বাংলাহান্ট ডেস্ক : চাণক্য সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই জানি। বহু রাজনীতিবিদের কাছে আমরা শুনেছি “ভারত চাণক্য নীতিতে চলে” বা “ভারতের পররাষ্ট্রনীতি চাণক্যকে অনুসরণ করে”। চাণক্যকে নিয়ে বহু লেখা আমরা পড়েছি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। চাণক্য সম্পর্কে বেশি কিছু লেখার কোনও মানে হয় না। চাণক্য ছিলেন ভারত উপমহাদেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও কূটনীতির শিক্ষক।
মৌর্য রাজের প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। ভারতের মাটিতে তিনি তার কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন আজ থেকে প্রায় 23 শত বছর আগে। একাধিক ছদ্মনামে লেখালেখি করতেন তিনি। কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত নামে পরিচিত ছিলেন চাণক্য। তার লিখে যাওয়া বহু কথা আজকের আধুনিক যুগেও সমান ভাবে সত্য। তাই অনেকেই আছেন যারা জীবনকে সুন্দর করতে চাণক্য নীতির (Chanakya Niti) অনুসরণ করেন।
আজ আমরা এমন পাঁচজনের সম্পর্কে জানব যাদের মধ্যে আসা উচিত নয় বলে লিখেছেন চাণক্য। চাণক্য তাঁর নীতি শাস্ত্রে একটি শ্লোকের মাধ্যমে পাঁচ ধরনের মানুষের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন ভুলেও কখনও এই পাঁচ জন মানুষের মধ্যে আসা উচিত না। যদি কেউ এই পাঁচজন মানুষের মধ্যে আসে তাহলে তার থেকে সৃষ্টি হতে পারে বহু সমস্যার।
১.চাণক্যর কথায় কখনই দুইজন পণ্ডিতের মাঝে আসা উচিত নয়। এতে ক্ষতি হতে পারে আপনার। চাণক্য বলে গেছেন যখন দুইজন বিদগ্ধ ব্যক্তি কথা বলেন তখন তাদের মাঝখানে যাওয়া মানে মূর্খতার পরিচয় দেওয়া।
২. চাণক্য তাঁর নীতি শাস্ত্রে লিখে গিয়েছেন, মালিক ও ভৃত্যের মধ্যে যা ঘটনা ঘটছে তার মধ্যে কখনও তৃতীয় ব্যক্তির আসা উচিত নয়।
৩. চাণক্য বলে গিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রী যদি কোনও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তাহলে কখনই তাদের বাধা দেওয়া উচিত নয়।
৪. শ্লোকের মাধ্যমে চাণক্য বলেছেন, যজ্ঞ করা হলে অগ্নি ও পুরোহিতের মাঝে কোনও বাধা থাকা উচিত নয়।
৫. কৃষি কাজ করার সময় কৃষকের লাঙ্গল ও বলদের মাঝে কারোর আসা উচিত নয়।